বাজার
দেশে এখন
0

কয়েক বছর ব্যর্থতার পর বগুড়ায় এবার সফল ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান

৩১ আগস্ট শেষ হচ্ছে বোরো মৌসুমে ধানচাল ক্রয় অভিযান। কয়েক বছর ব্যর্থতার পর বগুড়ায় এবার ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হয়েছে। দাম ভাল পাওয়ায় এবং উন্মুক্ত পদ্ধতিতে সংগ্রহ করায় নির্বিঘ্নে ধান সরবরাহ করেছেন কৃষক। তবে, মিল মালিকরা বলছেন প্রথম দিকে চালে কিছুটা লাভ হলেও বর্তমানে ধানের দাম বাড়ায় আর লাভ হচ্ছে না।

দেশে আপদকালীন মজুত এবং কৃষকের ধান, চালের দামে ন্যায্যতা আনতে প্রতিবছর সরকার ধান-চাল সংগ্রহ করে। বগুড়ায় গত কয়েক বছর চাল সংগ্রহে সফলতা থাকলেও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তবে, এবার সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার দু'দিন আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে শতভাগ।

একজন কৃষক বলেন, 'এবার আমরা খুব সহজেই ধান দিতে পারছি। টাকাও দ্রুত পেয়েছি। লাভ হয়েছে, তবে, সেটা সীমিত, আর একটু বাড়লে ভালো হতো।'

বোরো উত্তোলন মৌসুমের প্রথম দিকে ধানের দাম কিছুটা কম থাকায় যেসব মিল মালিকরা ধান সংগ্রহ করেছেন তারা ভালোই লাভ করেছেন। তবে, হাট-বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধির পর মিল মালিকদের লাভের অংক অনেকটাই কমেছে।

একজন মিল মালিক বলেন, 'অনেকসময় বাধ্য হয়ে লোকসানেও আমরা চাল দিয়ে দেই। বারবার এটা যেন না হয়, তার জন্য সরকার যদি কোনো উদ্যোগ নিতো তাহলে আমদের জন্য উপকার হতো।'

সরকার সময়মতো দাম নির্ধারণ করায় এবং তদারকি বাড়ানোয় সংগ্রহ অভিযান সফল হয়েছে বলে মনে করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।

বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ন কবির বলেন, 'চালের মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৫ হাজার ৪৩৭ মেট্রিক টন। এটা এরইমধ্যে সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৬১৩ মেট্রিক টন। যেটাও লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি সংগ্রহ হয়েছে।'

চলতি বোরো মৌসুমে বগুড়ায় ১১ হাজার ৬৫২ টন ধান এবং ৬২ হাজার ৩২৭ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রতিকেজি ধান ৩২ টাকা এবং চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৫ টাকা দরে।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর