উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘যাদের পকেট থেকে চাঁদা যায় তারা বুঝে কী কষ্ট। তাই এসব বন্ধ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সুখ ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থা সমতলের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। যার কারণে এ অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা কোথাও কোন প্রতিযোগিতায় গিয়ে টিকতে পারছে না। তাই যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই জরুরি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বান্দরবান পার্বত্য জেলা সারাদেশে পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে পর্যটন শিল্প বিকাশে কাজ করা হবে।’
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনঃগঠন নিয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘খুব শিগগিরই জেলা পরিষদ গঠন করা হবে। সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী সদস্য সংখ্যা নেয়া হবে। আমি চাইলে একজন বাড়তে পারবো না, কমাতেও পারবো না। তবে সদস্যদের মধ্যে শিক্ষার্থী রাখা হলে আমার মতে ভালো হবে।’
যৌথ অভিযানে কেএনএফ সন্দেহে মা-বোন ও শিক্ষার্থীদেরকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মুক্তি দেয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। তাদের বিষয়ে আইনগত কোন জটিলতা আছে কিনা সেটা দেখা হবে।’
তবে সকলের সমন্বয়ে জনগণের মঙ্গলের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাহাড়ে উন্নয়নে কাজ করবে বলে জানান তিনি। বিশেষ করে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষা, জীবিকার উন্নয়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করা হবে।