দেশে এখন
0

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে অর্থ-আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম। যার মধ্যস্ততা করেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়  ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। রাশিয়ার সহযোগিতায় পাবনার রূপপুরে নির্মাণ হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রকল্পটির ৯০ ভাগ অর্থায়ন হচ্ছে রাশিয়ার ঋণে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ডিফেন্স করপোরেশন নামে একটি পোর্টাল। যেখানে বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে যে খরচ ধরা হয়েছে তা, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি।

মালয়েশিয়ার এক ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫শ' কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম। নিজের ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার এই চুক্তি হয় দাবি করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মালয়েশিয়ায় পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য। ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী হয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিভিন্ন কোম্পানি খুলে বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করেছেন শেখ হাসিনা।

২০১৮ সালে চালু হয়েছে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের ওই পোর্টালটি। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করছে ওয়েবসাইটটি।

tech