এ সময় আন্দোলন চলাকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভেতরে থাকা বেশ কিছু গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সকালে বিএসএমএমইউর বিভিন্ন ভবনের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকা বেশ কিছু গাড়ি ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এতে হাসপাতালটির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসারত বিপুলসংখ্যক রোগী, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করে।
রাজধানীর পুরান ঢাকায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে পুলিশের একটি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিজ বাসভবনে ফেরার পথে মৎস্যভবন সংলগ্ন এলাকায় চার বিচারপতির গাড়িতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
সারাদেশে মোট ১৯টি থানায় হামলা চালানো হয়েছে। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা।
দিনাজপুরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও তার ভাই জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
সিরাজগঞ্জে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা। হামলা চালানো হয়েছে জেলা জজ আদালতে।
টাঙ্গাইলে পৌর ভবন ও মির্জাপুরে থানায় হামলা ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। চাঁদপুরে সড়ক ও জনপদ ভবন এবং হাজীগঞ্জ পৌরসভায় ভাঙচুর ও আগুন দেয় হামলাকারীরা। গাইবান্ধা পৌরসভায় হামলা, ভাঙচুর ও ময়লার গাড়িসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এদিকে ময়মনসিংহে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে আগুন দেয়া হয়। ঠাকুরগাঁওয়েও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রাজশাহীর মোহনপুর পৌরসভা ভবনে আগুনের পাশাপাশি থানা ভাঙচুর ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয় হামলাকারীরা। এসময় থানার মালখানায় থাকা ৭০টির বেশি মোটরসাইকেল ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া পুলিশের টহলগাড়ি ও ওয়ালেস টাওয়ার ভেঙে ফেলে তারা।
বরিশালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া বাঘেরহাটে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।