বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। আদালত অভিমুখে যাত্রা করে বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্রছাত্রীসহ প্রতিবাদী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী, আমরা কোনো ধরনের সহিংসতার সাথে যুক্ত না।'
স্লোগানমুখর হয় সড়ক-মহাসড়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির টহল টিম। শিক্ষার্থীরা আদালত চত্বরে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। উপেক্ষা করলে লাঠিচার্জসহ টিয়ারশেল ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রতিবাদে ইটপাটকেল ছোড়ে শিক্ষার্থীরাও। এর মধ্যে বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া ও নরসিংদীতে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থী।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছিল। তারপরও তাদের ওপর যেমন ন্যাক্কারজনকভাবে লাঠিচার্জ করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানা। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রছাত্রীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তির দাবি জানাই।'
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'দুষ্কৃতীকারীর মতো তারা গাড়ি অবরোধ করেছে, গাড়িতে ভাঙচুর করেছে। তারা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বেশকিছু লোক আটক আছে।'
হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলার প্রতিবাদসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ৬ সমন্বয়কের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তারা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'এটা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন না। তাই একটা নেতা বা সমন্বয়কের জন্য এ আন্দোলন থেমে থাকবে না। আমরা জানি যে, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের ডিবি অফিসে জিম্মি করে তাদের দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই প্রত্যাহার মানি না।'
এছাড়া, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর ও টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখেও কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জসহ টিয়ারশেল ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।