আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে কোটা নিয়ে চলমান আন্দোলন বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি। তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায় বলে জানিয়েছে। আমরাও চাই তারা পড়ার টেবিলে ফিরুক। তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তারা সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছে। সরকারও সমাধানই করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীরা আলোচনার পথে যেতে চায়। সরকারের পক্ষ থেকেও আলোচনার দরজা খোলা আছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা সবচেয়ে ইতিবাচক যে বক্তব্যটি দিয়েছে তা হলো, চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদির সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনোভাবেই জড়িত নয়। অর্থাৎ, তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে, আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও সন্ত্রাস হচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই যে তারা এই সহিংসতা ও সন্ত্রাসকে নিন্দা জানিয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য একই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন শিক্ষার্থীরা সহিংসতার সাথে জড়িত নয়, এখানে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা আরো বলেছে, চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নিবে না। আমরা মনে করি, যেহেতু আন্দোলনের ভিতরে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উপাদানগুলো দৃশ্যমান, কাজেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা পরিষ্কার বলেছে, তাদের আন্দোলনকে কেউ যেন ভিন্নখাতে প্রবাহের প্রচেষ্টা না করে। অর্থাৎ সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তাদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা আছে- যা আমাদেরও অভিমত এবং প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এ বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।'
তিনি বলেন, ‘ এ অবস্থায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি তৃতীয়পক্ষের অসাধু সুযোগ নেয়ার অপচেষ্টা রোধের জন্য আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় বসে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চাই, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য অনুযায়ী পড়ার টেবিলে ফিরতে পারে।’—প্রেস বিজ্ঞপ্তি