আজ (শুক্রবার, ১২ জুলাই) ছুটির দিনে মুষলধারে এমন বৃষ্টি অনেকের কাছে কাঙ্ক্ষিত হলেও কিছু সময় যেতেই তা রূপ নেয় চরম ভোগান্তি আর আতঙ্কে। শেষ পর্যন্ত দুর্যোগে পরিণত হয় আষাঢ়ের বৃষ্টি।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে বৃষ্টি, থৈ থৈ পানিতে সড়কগুলো ডুবে যায় পানিতে। এতে ছুটির দিনেও চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। কোথাও হাঁটু, কোথাও আবার কোমড় সমান পানিতে চলাচল করতে দেখা গেছে নগরবাসীকে।
ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোতে বেশি বিপদে পড়তে হয়েছে নাগরিকদের।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজধানীতে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান বলেন, দেশের আট জায়গায় ভারি বর্ষণ হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে ৩০৯ মিলিমিটার এবং সন্দ্বীপে ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই ধারা আজ অব্যাহত থাকবে কিন্তু আগামীকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে।
এদিকে ভারি বৃষ্টির সাথে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়েছে সড়কে। এদিন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাও ছিলো রাজধানীতে। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি অনেক পরীক্ষার্থী।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, দেশের কোথাও ভারি, কোথাও অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজধানীতে ধীরে ধীরে বৃষ্টি কমলেও দেশের উত্তরাঞ্চলে তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
জলাবদ্ধতা নিরসনে বছর বছর নানা প্রকল্পে বহু অর্থব্যয় হলেও তা থেকে মুক্তি মিলছে না রাজধানীবাসীর। পরিকল্পনাতেই গলদ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আগামীকাল শনিবার বৃষ্টি কমে তাপমাত্রা বাড়ার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।