একসময় নিত্যপণ্য কিনতে এক বাজার থেকে অন্য বাজারে ঘুরতে হলেও এখন সে চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। মাছ -মাংস, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে প্রসাধনী, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সব পণ্য মিলছে একই ছাদের নিচে। তাই দিন দিন বাড়ছে সুপারশপের চাহিদা।
গত দশ বছর আগেও সুপারশপগুলোতে নগরবাসীর আগ্রহ তেমন একটা ছিল না। তবে দিন বাড়ার সাথে সাথে এসব সুপারশপ থেকে কেনাকাটায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। যার ফলে দিন দিন বেড়ে চলছে সুপারশপের সংখ্যা। কেনাকাটা করেও স্বাচ্ছন্দ্য প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
তারা বলেন, বেশিরভাগ সুপারশপে একদামে কিনতে হয়। যে কারণে আমরা দামের যাচাই করতে পারছি। দোকানে দোকানে ঘুরতেও হচ্ছে না। অন্য জায়গা থেকে নিলে অনেক সময় প্রকৃত পণ্য পাই না। কিন্তু এখানে সকল পণ্যই মানসম্পন্ন।
বাজার মানেই যেন অপরিচ্ছন্ন আর ভিড়ে ঠাসা অস্বস্তিকর পরিবেশ। আবার দরদাম করতে গিয়ে মেজাজ ঠিক রাখাও দায় হয়ে পড়ে অনেকের। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার বিপরীতে শহুরে জীবনে খানিকটা স্বস্তি এনেছে সুপারশপ।
বরিশাল নগরীর তমালিকা সাহা নামের এক বাসিন্দা অফিস শেষে সুপারশপে আসেন বাজার করতে। একই জায়গায় সব কিছু পাওয়ায় ও স্বস্তিদায়ক পরিবেশ হওয়ায় সুপারশপ থেকেই সংগ্রহ করেন প্রয়োজনীয় সব পণ্য। নগরীর অনেক বাসিন্দাদেরই প্রথম পছন্দ এখন সুপারশপ।
তমালিকা বলেন, 'একেক জিনিস একেকটা জায়গায় গিয়ে কিনা সময় সাপেক্ষ। কিন্তু সুপারশপে সব জিনিস একই জায়গায় পাওয়া যায়।'
মানুষের স্বস্তির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখছে সুপারশপ। এ বাবদ রাজস্ব আদায় বাড়ছে সরকারের। তবে সুপারশপে যাতে বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি না হয় সেদিকে বিক্রেতাদের সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী।
তিনি বলেন, 'রাস্তার ধারের দোকান থেকে সুপারশপের জিনিসের মান অনেক ভালো। পণ্যের গায়ে দাম লেখা থাকে। সেখানে ভ্যাট-ট্যাক্সের কারণে দাম একটু বেশি হতে পারে।'
বরিশাল নগরীজুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি সুপারশপ রয়েছে।