হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৭ সালের ২ জুলাই সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ একটি দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সুনামগঞ্জ জেলা পাউবোর ১৫ কর্মকর্তা এবং ৪৬ ঠিকাদার ও প্রতিষ্ঠানসহ ৬১ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
এ মামলায় ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয়। তদন্ত সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকর্তা জানান, অনুমোদিত চার্জশিটে ৩৩ জনের মধ্যে মামলার এজাহার নামীয় ২৭ জন রয়েছেন। নতুন ছয়জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর মামলা থেকে ৩৪ জন এজাহারনামীয় আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিট থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩৪ জন হলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম সরকার, প্রাক্তন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পুর)/শাখা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, মো. বরকত উল্লাহ ভূঁইয়া, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ঠিকাদার খন্দকার শাহিন আহমেদ, মো. জিল্লুর রহমান, সজীব রঞ্জন দাস, এম এ হান্নান, খাইরুল হুদা চপল, কামাল হোসেন, কাজি নাছিমুদ্দিন, খন্দকার আলী হায়দার, মো. আকবর আলী, মো. রবিউল আলম, মো. আবুল হোসেন, শিববত বসু, মোজাম্মেল হক মুন, মো. বাচ্চু মিয়া, বিপ্রেশ তালুকদার বাপ্পি, মো. জামিল ইকবাল, চিন্ময় কান্তি দাস, মো. খাইরুজ্জামান, ম. মফিজুল হক, মো. মোখলেছুর রহমান, মো. রেনু মিয়া, মো. শামসুর রহমান, আব্দুল মান্নান, মো. মাহতাব চৌধুরী, লুতফুল করিম, হাজি মো. কেফায়েতুল্লা, হুমায়ুন কবির ও ঠিকাদার মো. ইকবাল মাহমুদ।