আলোচিত এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি হলেন আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী সাজি।
বিচারক দিলরুবা আফরোজ তিথি এই আদেশ দিয়েছেন। এর আগে দুপুরে আসামিদের আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর।
আসামিদের রিমান্ডের তথ্য সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুস সাত্তার দুলাল।
তিনি বলেন, 'এমপি আনারের মেয়ের করা অপহরণের মামলায় গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৩ মে) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। তবে আসামি শিলাস্তি রহমান নিজের দায় অস্বীকার করেন। আজ আদালতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়ায়নি।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে এই আইনজীবী বলেন, ‘এমপি আনারকে যে হত্যা করা হয়েছে আদালত সেটি নিশ্চিত হয়েছেন। কারণ এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের যে কসাই জিহাদ (জিহাদ হাওলাদার) অংশ নিয়েছিল, সে আজ বারাসাতের আদালতে হত্যাকাণ্ড এবং মরদেহ খণ্ড খণ্ড করার কথা স্বীকার করেছে।'
তিনি জানান, ভারতে এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার জিহাদ হাওলাদারকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের আদেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতের আদালত।
জানা গেছে, চলতি মে মাসের ১২ তারিখ চিকিৎসার জন্য তিনি কলকাতায় যান এমপি আনার। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
কলকাতার পুলিশ জানিয়েছে, তিনি ব্যারাকপুরের এক বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন। সেখান থেকে ১৪ মে তিনি একজনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে বেরিয়ে ছিলেন। এরপর আর ফিরে আসেননি।
এরপর এমপি আনারের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। পরবর্তীতে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হয়েছে বলে গত বুধবার (২২ মে) বাংলাদেশকে জানায় ভারতীয় পুলিশ। এরপরই একের পর এক বেরিয়ে আসে নানা তথ্য।