চলতি মৌসুমে শুরু হয়েছে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। কৃষক থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪৫ টাকা দরে সিদ্ধ চাল কিনছে সরকার। তবে শেরপুরে এই নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে খাদ্য গুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
কৃষকদের অভিযোগ, শেরপুর সদর খাদ্য গুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রকৃত কৃষক ও চাতাল মালিকদের থেকে ধান-চাল না কিনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিম্নমানের ধান-চাল সংগ্রহ করছেন। এতে কৃষক ও চাতাল মালিকরা উৎপাদিত ধান এবং চালের সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অভিযোগ উঠেছে সরকারি গুদাম থেকে সরবরাহ করা চালের বস্তায় পরিমাপে কম দেয়ারও। এছাড়া, অটোমিলের লাইসেন্স দেয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে লাইসেন্স দিতে গড়িমসি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়ম বন্ধে ওই কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভও করেন কৃষক ও চাতাল মালিকরা।
চাতাল মালিকদের একজন বলেন, 'পাইকার সিন্ডিকেটদের কাছ থেকে ধান-চাল নেই। কিন্তু কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল নেই না।'
গত আমন মৌসুমেও সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে ধান-চাল কেনা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ ওঠে। তবে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ঐ কর্মকর্তা।
শেরপুরের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, 'আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পারমিশন ছাড়া সাক্ষাৎকার দিতে পারবো না। কারণ, আমি এখানে চাকরি করি।'
অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, 'তদন্ত করার পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
চলতি বোরো মৌসুমে শেরপুরে ৯১ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলে। অর্জিত হয়েছে ৯১ হাজার ৯৪২ হেক্টরে।