তার আগে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন। বিল পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এবং স্বতন্ত্র সদস্য পঙ্কজ নাথ।
সংশোধিত বিলে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। কিছু মামলায় কোন সদস্য অনুপস্থিত থাকলে আদালত কাজ করতে পারে না। এ অবস্থায় অনুপস্থিত সদস্য বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য ৭ দিন সময় পাবেন। যদি ওই সদস্য নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত থাকতে না পারেন তাহলে চেয়ারম্যান একটি অতিরিক্ত ভোট দেয়ার ক্ষমতা পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফৌজদারী ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসাবে মনোনয়ন দেবে।
বিলের তফসিলে ৭ ধরনের দেওয়ানি মামলা গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কোনো চুক্তি, রশিদ বা অন্য কোনো দলিল মূলে প্রাপ্য অর্থ আদায়ের মামলা। কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের মামলা। স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা।
এতে বলা হয়, কোন অস্থাবর সম্পত্তির জবর দখল বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা। গবাদি পশু অনধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা। কৃষি শ্রমিকদের পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা। স্ত্রীর বকেয়া ভরণপোষণ আদায়ের মামলা রয়েছে বিলে। খবর বাসস।