দেশে এখন
0

জনপ্রিয়তা বাড়ছে যশোরে তৈরি ইটের ফরমার

শুষ্ক মৌসুমে ভাটাগুলোতে পড়ে ইট তৈরির ধুম। এ সময় বাড়ে যশোরের ফরমার চাহিদা। আর এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে দেড় শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান। প্রতি মৌসুমে বেচাকেনা হয় প্রায় ৮ কোটি টাকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি ঋণ সহায়তা পেলে আরও সমৃদ্ধ হতো এই ব্যবসা।

কাঠের টুকরো দিয়ে কোন আসবাব নয়, তৈরি হবে একপ্রকার ছাঁচ বা ফ্রেম-প্রচলিত ভাষায় নাম ফরমা। মূলত ইট তৈরির জন্য নির্দিষ্ট মাপের এ উপকরণগুলো ব্যবহৃত হয়। মৌসুম ঘিরে তাই ব্যস্ততা যশোরের সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারের বটতলা এলাকায়। জায়গাটিতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চলে ফরমা উৎপাদন ও বিপণন।

জেলায় গড়ে উঠেছে ইট তৈরির ফরমার এমন ১১টি কারখানা। আম, গামারীসহ নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রজাতির গাছের কাঠের তৈরি এসব ফরমার চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বেশিরভাগ ইটভাটায় পাঠানো হয় পাঠানো হয় এগুলো। প্রতিটি ফরমা প্রকারভেদে বিক্রি হয় ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকায়।

একজন কারিগর বলেন, 'একেক জায়গার মাপ একেকরকম। মাপ একটু এদিক সেদিক হলে চলবে না। একেবারে সঠিক মাপটিই হতে হবে।'

শ্রমিকরা জানান, তাদের দৈনিক আয় ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। আর এই পেশার ওপর ভর করে চলছে দেড় শতাধিক শ্রমিকের সংসার।

জেলায় বছরে তৈরি হয় ৩ লাখ ফরমা। যার বাজার মূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা। তবে বর্তমানে পুঁজি ও কাঁচামাল সংকটে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তাই সরকারি ঋণ সহযোগিতার দাবি ব্যবসায়ীদের।

যশোর ভাই ভাই ফরমা এন্ড ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী আসাদুজ্জামান বলেন, '১২ মাসে শ্রমিক খাটাতে গেলে সে পরিমাণ পুঁজি নেই আমাদের। এ ক্ষেত্রে সরকার যদি আমাদের অর্থনৈতিকভাবে একটু সহযোগিতা করে তাহলে আমাদের ব্যবসায় ভালো হবে।'

এদিকে সারাদেশে ৯ হাজারেও বেশি ইট ভাটা রয়েছে। এগুলোতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ ফরমা যশোর থেকেই সরবরাহ করা হয়। তাই ব্যবসার প্রসারে সহযোগিতার আশ্বাস বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের।

যশোর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের উপমহাব্যবস্থাপক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, 'বিসিক মূলত তাদের নিবন্ধন, অর্থনৈতিক কিছু সাপোর্ট দিয়ে থাকে। তার আওতায় তারা অবশ্যই সহযোগিতা পেতে পারে।'

সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা ও কাঁচামাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে এ খাত থেকে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এর সঙ্গে এ খাত থেকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

এসএস