আজ (সোমবার, ১ এপ্রিল) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রুলে ওই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, বুয়েট উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করলো হাইকোর্ট। ফলে বুয়েটে রাজনৈতিক কার্যক্রম চলতে আর বাধা রইলো না।
বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়। ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষের দেয়া 'জরুরি বিজ্ঞপ্তি'র বৈধতা নিয়ে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম আজ রিটটি করেন। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
রিটকারীর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, 'বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার আইনগত কোনো ভিত্তি নাই।'
এদিকে বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ বলেছেন, আদালতের রায় মানতে বাধ্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থী ও আইইইবির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ এসব কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, 'আদালতের নির্দেশনা মানতে আমরা বাধ্য। তবে হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। সবার মতামত নিয়ে আগামী দিনে বুয়েটের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।'
বুয়েট ক্যাম্পাসে মুক্ত চর্চার ছাত্র রাজনীতির প্রস্তাবে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও জানান তিনি।
সত্য প্রসাদ বলেন, 'শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মতামত নিয়েই ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কোর্টের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য। তারা যা বলবেন আমরা মেনে নেব।'
আদালতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বুয়েটে কোনো নেতিবাচক রাজনীতি চর্চা করবে না ছাত্রলীগ। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি চায় ছাত্রলীগ।’
গত তিনদিন ধরে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে আন্দোলন করে আসছিল।