রংপুর সিটি কর্পোরেশনের এর চারিদিকের সীমানা যেখানে শেষ, সেখানেই শুরু বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। যেখানে বারোমাস ফলে নানান ধরনের শাক, সবজি, ফলমূল, প্রায় ঘরে ঘরে পালন হয় গবাদি পশু। এরপরও রাজধানীর সঙ্গে এ অঞ্চলের খাদ্যপণ্যের দরের খুব একটা তারতম্য নেই। কারণ ফসলের মাঠ থেকে বাজার পর্যন্ত সবজি পৌঁছাতে বদল হয় তিন থেকে চার হাত।
সিটি কর্পোরেশনের চার একরজুড়ে প্রতিষ্ঠিত সিটি বাজার। কাগজে কলমে ১ হাজার ১১২ টি দোকান হলেও প্রকৃত দোকান সংখ্যা ঢের বেশি। কৃষিনির্ভর রংপুর অঞ্চলের স্থানীয় বাজার কতটা ভোক্তাবান্ধব তা দেখতে বাজারে স্বয়ং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচ এম শফিকুজ্জামান। সঙ্গে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালকসহ স্থানীয় প্রশাসন।
দু'টি দোকানকে অনিয়মের অভিযোগে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও একে অভিযান বলতে নারাজ ভোক্তার ডিজি। তিনি বলেন, 'সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।' এসময় রংপুরের বাজার দর নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালকও।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, 'এমন একটা জায়গা দরকার যেখানে কৃষকরা সরাসরি এসে তার পণ্যটা বিক্রি করতে পারবে। বণিক সমিতি, চেম্বার, জেলা প্রশাসক মহোদয়, সিটি কর্পোরেশন তারা কিন্তু নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে কৃষকের পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করলে, যেখানে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে সেখানে দাম কমাতে বাধ্য হবে।'
বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, '৬৪ জেলা থেকে আমার কাছে রিপোর্ট আসে। এইটা আমরা বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে জানায়। আমাদের মনিটরিং আছে। আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তুলতে হবে। আইন-আদালত দিয়ে আমরা সবকিছু করতে চাই না।'
এরপর দুপুরে খোলা তেল বাজারজাতকরণ বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেলের গুণগত মান নিশ্চিতে ডিজিটাল মনিটরিং বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন বাণিজ্য, খাদ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে খোলা তেলের খাদ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিভিন্ন বিষয়।
তবে ঘটা করে বাজার মনিটরিংয়ের পর অভিযান শেষে বাজার পরিস্থিতি যেন ফের পূর্বের অবস্থায় ফিরে না যায় এজন্য স্থানীয়ভাবে নিয়মিত নজরদারীর দাবি ভোক্তা সাধারণের।