সংস্থাটির ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ ৩৭ হাজার। এ সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বেড়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোভিড মহামারি শুরুর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখের বেশি, যা ২০২৩ সালে এসে কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজারে। ঠিক কী কারণে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী কমেছে, তার কারণ ব্যাখ্যা করেনি ব্যানবেইস।
ব্যানবেইসের তথ্য অনুযায়ী, চার বছরে দেশের কারিগরি, মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে মাদ্রাসাগুলোয় শিক্ষার্থী বেড়েছে আড়াই লাখের বেশি। বর্তমানে মাদ্রাসা পড়া শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি।
গেল কয়েক বছরে দেশে বেড়েছে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ২০১৯ সালে কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চার বছর আগে দেশের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ২৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতো, বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজারের ওপরে।
চার বছরে মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার কমলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেছে ব্যানবেইস।
২০১৯ সালে মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩৬.৭৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৩২.৮৫ শতাংশে। অন্যদিকে ২০২৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার ছিল ১৮.৫৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে সেটি হয়েছে ২১.৫১ শতাংশ।
এই সময়ে মাধ্যমিকে মেয়েদের ঝরে পড়ার হার কমলেও বিপরীতে উচ্চ মাধ্যমিকে বেড়েছে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়েদের ঝরে পড়ার হার ৩৪.৮৭ শতাংশ আর উচ্চ মাধ্যমিকে তা হয়েছে ২২.৪৫ শতাংশ।
ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান নিয়ে শিক্ষা সচিব সোলেমান খান বলেন, ‘ব্যানবেইসের নতুন পরিসংখ্যানে যে সব তথ্য উঠে এসেছে, তা নিয়ে আমরা গবেষণা করে দেখবো। দেখবো কেন শিক্ষার্থী কমেছে।’
প্রসঙ্গত দেশের মাধ্যমিক থেকে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংকলন ও বিতরণ করে সরকারি সংস্থা ব্যানবেইস।