মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোর থেকেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযোদ্ধা, মেয়র ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ চট্টগ্রামের আপামর জনতা। নগরীর কাট্টলীতে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর কোনো স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন চট্টগ্রামবাসী।
এসময় শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করবো এবং আমাদের আগামী প্রজন্মের প্রতি অনুরোধ থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসবে।'
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন শুরু হয় সৈয়দপুর ও ময়মনসিংহে। এরপর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
এদিকে, খুলনার গল্লামারী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনে জনতার ঢল নামে। শ্রদ্ধা জানান সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসকসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এছাড়া তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে কুমিল্লায় মহান স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় নগরীর টাউনহল মাঠে। স্মৃতিসৌধ, ম্যুরাল ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জানানো হয় শ্রদ্ধা।
সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত হন। এসময় অসাম্প্রদায়িক, দুর্নীতিমুক্ত ও সম্প্রীতির দেশগড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
এদিকে, যথাযোগ্য মর্যাদায় পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে উদযাপিত হচ্ছে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিনটি উপলক্ষে সকাল ৬টা ৫ মিনিটে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ এবং বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এছাড়া বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ছিল নানা আয়োজন। এছাড়া মেহেরপুর, পিরোজপুর, নওগাঁ, মৌলভীবাজারসহ সারাদেশেই বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। কুচকাওয়াজ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভা, ইফতার এবং দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।