বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ওবায়দুল কাদের রাজধানীর গণপরিবহন পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ী চলে যা খুবই দুঃখজনক। গণপরিবহনের এমন বাজে অবস্থা যে তাকানো যায় না, চরম লজ্জাজনক।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এতো এগিয়ে গেলো অথচ গণপরিবহনের চেহারা এতো গরীব, তাকানো যায় না। বিদেশিরা মেট্রোরেল দেখে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেখে আর নিচে নেমে লক্কড়-ঝক্কড় বাস দেখে।’
তিনি বলেন, ‘ফেনী থেকে হানিফ ফ্লাইওভার আসতে যে সময় লাগে, তার চেয়ে বেশি সময় লাগে হানিফ ফ্লাইওভার পার হতে। হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে না বাড়লে সড়কে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব না।’
তিনি জানান, পদ্মা সেতু অর্থায়ন বাতিলের পর দীর্ঘ বিরতি নিয়ে আবারও রোড সেইফটি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন নিয়েছে বাংলাদেশ। এসময় মন্ত্রী সড়কে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে হতাশা প্রকাশ করেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭৩টি পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। সভায় হানিফ ফ্লাইওভারের যানজট নিরসনের জন্য ঈদে প্রয়োজনে টোল বন্ধ করার দাবি করেন শাহজাহান খান।
তিনি বলেন, ‘সড়কে কোনোভাবেই চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাচ্ছে না। চাঁদাবাজির বন্ধ করতে পারলে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনা সহজ হবে।’
সভায় ঈদে একদিন ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ইফতার ও সেহরির সময় গাড়ী থামানোর কারণে যানজট দীর্ঘ হয়। এবারের ঈদ নির্বিঘ্নে ঘরমুখো মানুষ বাড়ী ফিরতে পারবে বলে প্রত্যাশা আইজিপির।