দেশে এখন
0

দেশে এয়ারবাসের যাত্রা শুরু শিগগিরই

বোয়িং থেকে এয়ারবাসে যাচ্ছে দেশের অ্যাভিয়েশন খাত। দেশের একমাত্র এয়ারবাসের মালিক ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স উড়োজাহাজটি দিয়ে ঢাকা-জেদ্দা রুটে যাত্রা শুরু করতে চায়। সবঠিক থাকলে এই গ্রীষ্মেই ডানা মেলবে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০।

৯ ফেব্রুয়ারি, বিকেল সোয়া ৩টা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি চাওয়া হয় ইউএস-বাংলার সদ্য যুক্ত হওয়া এয়ারবাসের ককপিট থেকে। ৪৩৬ আসনের আকাশের দৈত্যটিকে অ্যাপ্রোচ কন্টিনিউ করতে বলে ঢাকা টাওয়ার।

মিনিট দুয়েকের মধ্যেই চীনের গুয়াংজু থেকে উড়ে আসা ৩৩০-৩০০ মডেলের এয়ারবাসটি দেশের প্রধান বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওয়াটার ক্যানন স্যালুট প্রদানের মাধ্যমে জানানো হয় অভ্যর্থনা।

গ্রীষ্মকালীন ফ্লাইট সূচির শুরুতে এই রুটে ডানা মেলবে উড়োজাহাজটি। যাত্রার প্রথম দিন থেকেই এ রুটে সপ্তাহের ৭ দিনই চলবে ফ্লাইট।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স (জনসংযোগ) মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, 'সম্প্রতি আমাদের বহরে একটি এয়ারবাস যুক্ত হয়েছে। এই এয়ারবাস দিয়ে আমাদের টার্গেট, জেদ্দা-দাম্মাম-রিয়াদ রুটসহ ইউরোপের বেশকিছু রুটে সার্ভিস দেয়া।'

এছাড়া এয়ারবাসটি দিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যসহ লন্ডন ও রোম রুটেও চোখ রাখছে ইউএস বাংলা। এয়ারলাইন্সটি বলছে, পরিবহন খরচ কমাতে ও কার্গো বাড়াতেই বহরে এয়ারবাসটির সংযোজন। চলতি বছর আরও একটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনাও আছে বলে জানান কামরুল ইসলাম।

অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুযোগ-সুবিধা আদায়ে দর কষাকষি করতে বহরে ২ ধরনের উড়োজাহাজ থাকা এয়ারলাইন্সটির জন্য ইতিবাচক হবে।

অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার (অব.) এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথিবীর বড় বড় যে এয়ারলাইন্সগুলো আছে, সেখানে এয়ারবাস ও বোয়িং আছে। আর দুই ধরনের এয়ারক্রাফট থাকলে দর কষাকষির জায়গা বেশি তৈরি হয়।’

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে ২৩টি উড়োজাহাজ আছে। এর মধ্যে একটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ১০টি এটিআর ৭২-৬০০ ও তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০।