রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য ভাষাশহীদদের বীরত্ব গাঁথা বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণের দিন আজ। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় রফিক, জব্বার, বরকতদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে শ্রদ্ধার ফুলে ভরে যায় শহীদ বেদি।
ভোর থেকে সারিবদ্ধভাবে ঢল নামে নানা বয়সী মানুষের। অভিভাবকদের হাত ধরে ফুল হাতে ছুটে আসেন ছোট্ট শিশুরাও। সন্তানরা ধীরে ধীরে জানবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ইতিহাস এমন প্রত্যাশা অভিভাবকদের।
তারা বলেন, 'আমাদের যে স্বাধীনতার শিক্ষা সেটা যেন প্রতিটি শিশু ধারণ করতে পারে। আজকের দিনটা কেন এতো মর্যাদাপূর্ণ তা যেন শিশুরা উপলব্ধি করতে পারে।'
শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো। তারা বলেন একুশের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এছাড়া বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তারিক ভাষা করাই এখন লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, 'যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আমাদের চেতনায় একুশে ফেব্রুয়ারি চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।'
শহীদ মিনারে দেখা মেলে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের। শহীদদের রক্তভেজা ইতিহাসের কথা স্মরণ করেন তারাও।
বিদেশি নাগরিকরা বলেন, 'আমরা সত্যিই খুব খুশি। এই মাতৃভাষার ঐতিহ্য শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা ভাষার ইতিহাস খুবই মযার্দাপূর্ণ, আমরা খুবই গর্বিত।'
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে যেমন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এক হয়েছেন, জীবন দিয়ে আদায় করেছেন অধিকার। তেমনি আজও সেসব ভাষা শহীদদের স্মরণে সর্বসাধারণ জড়ো হয়েছেন এক ময়দানে।