যানজট নিরসন ও পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য প্রথমবারের মতো কাজ করছে ডিএমপি’র ৩২টি কুইক রেসপন্স টিম। তবে প্রথমদিন এ বিষয়ে জানতেন না অনেকে। আর অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছে ডিএমপি।
পরীক্ষার্থীদের তাড়াহুড়ো করে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা, সময় বাকি আছে মাত্র ১০ মিনিট। যদিও নির্দেশনা ছিলো ৩০ মিনিট আগেই কক্ষে প্রবেশ করতে হবে।
যানজটের নগরীতে দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। নিত্যদিনের যানজটের সঙ্গে পরীক্ষা শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সড়ক অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে। পরীক্ষার টেনশনের সঙ্গে সড়কেই দীর্ঘসময় আপেক্ষায় থাকতে হয় পরীক্ষার্থীদের। তাই নিরুপায় হয়ে যানবাহন ছেড়ে অনেকে পায়ে হেঁটেই রওনা দেন।
এক অভিভাবক বলেন, ‘তীব্র যানজটে রাজারবাগেই এক ঘণ্টা আটকে ছিলাম। পরে বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে যাই। আর হেঁটেই সন্তানকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসি।’
এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘অনেক জ্যাম, গাড়ি চলাচল করছিলো না। পরে হেঁটেই চলে আসি।’
এসময় পরীক্ষার দিনে অফিসের সময় পরিবর্তনসহ কেন্দ্র সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। যানজট সমস্যার সমাধানে এবং পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য এবার ডিএমপি আগে থেকেই নতুন উদ্যোগ নিয়েছিলো। এদিন ঢাকার ১২২টি কেন্দ্রে কাজ করে ৩২টি কুইক রেসপন্স টিম। ৯৯৯-এ ফোন করে সেবা পাওয়ার সুযোগও ছিলো। তবে এ বিষয়ে অনেক অভিভাবকই জানতেন না।
এক অভিভাবক বলেন, ‘এই সেবার বিষয়ে আগে জানতাম না। পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পর জানতে পেরেছি। যদি আগে জানতাম, তাহলে আজ এতো ভোগান্তি হতো না।’
পুলিশ বলছে, সামনের দিনগুলোতে যানজট আরো কমে যাবে। আর অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে, কেননা রাস্তার মাঝে অবস্থান করলে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে।
এবার সারাদেশে ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু চলছে।