রাজনীতি
দেশে এখন
নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় আওয়ামী লীগ
শুধু সংরক্ষিত আসনে নয়, আগামীতে সংসদ নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় আওয়ামী লীগ। গণভবনে সংরক্ষিত নারী আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কাউকে অবহেলা করে নয়, উন্নত দেশ গড়তে নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে।

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। প্রতি ৬টি আসনের বিপরীতে একটি করে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন দেয়ার বিধান রয়েছে। এই হিসাবে নিজেদের এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থন পাওয়ায় আওয়ামী লীগের কোটা ৪৮টি।

৪৮ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১ হাজার ৫৫৩ জন। সংখ্যার হিসাবে প্রতিটি আসনের জন্য ফরম কিনেছেন ৩২ জনের বেশি। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর ডাকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা গণভবনে আসেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এ তালিকায় আছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা ও মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনরা। এছাড়াও আছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকা অভিনেত্রী, শহীদ পরিবারের সদস্য, সামাজিক সংগঠনের নেতা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার নারীরা।

বক্তব্যে বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছরে দেশে ব্যাপকহারে নারী জাগরণ হয়েছে। নারীদের কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নে ব্যাপক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, 'গ্রামের মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। আমরা কিন্তু গ্রাম পর্যায়েও মেয়েদেরকে নানা ধরনের প্রশিক্ষণসহ ডিজিটাল শিক্ষার সুযোগ সুবিধা পর্যায়ক্রমে করে দিচ্ছি।'

সংরক্ষিত নারী আসনে এত প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৪৮ জনকে বাছাই করা কঠিন কাজ বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। মনোনয়ন না পেলেও মানুষের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন আগামীতে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে নারীদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, 'কেউ অযোগ্য নয় তবে খুব কঠিন একটা কাজ আমাদের উপর পড়লো। কেউ পিছনে পড়ে থাকলে তাকে টেনে নিয়ে আসার দায়িত্ব কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের। কাউকে পিছনে ফেলে নয়, সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।'

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির সমালোচনা করেন। বলেন, 'বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল। আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং মা-বোনেরা তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে।'

শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ থাকলে দেশের উন্নতি হয় বলেও জানান সরকার প্রধান।

এভিএস