স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

সারাদেশে ঠান্ডা কমলেও, বাড়ছে শীতজনিত রোগ

মাঘের মাঝামাঝিতে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। তাপমাত্রার উন্নতি হলেও বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালগুলোতে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

উত্তরের শহর পঞ্চগড়ে চলছে টানা শৈত্যপ্রবাহ। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় জেলাটিতে শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় বেশি।

জেলা সদর হাসপাতালে ১০০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ২২৬ জন। বেশিরভাগ শিশুই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর শয্যা সংকটের কারণে এসব রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে মেঝেতে।

উত্তরের আরেক জেলা বগুড়ায় তীব্র শীতের কারণে শুধু জানুয়ারিতেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় ২ হাজার ১৮৩ জন। আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৪ জন। এছাড়া নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয় ৬ শিশুর। এ অবস্থায় সচেতন থাকার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, 'শীতকালে ভাইরাসের আক্রমণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। নিজের সুরক্ষার জন্য ভিড়ের মাঝে কম যাওয়া, হাঁচি, কাশিতে যারা ভুগছে তাদের শীত লাগানো যাবে না। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।'

দক্ষিণের জেলা বরিশালে তাপমাত্রার উন্নতি হলেও ভিড় বেড়েছে হাসপাতালে। বহিঃর্বিভাগের পাশাপাশি রোগির চাপ বেড়েছে শিশুওয়ার্ডেও। যাদের বেশিরভাগই ঠান্ডা, জ্বর ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শিশুওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ রোগী ভর্তি হয়েছে। তাই সচেতনতা বাড়লে শীতজনিত রোগী কমে আসবে বলে জানান চিকিৎসক।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার সাহা বলেন, 'ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাদের ভালো রাখতে হলে বাচ্চাদের নিয়ে অহেতুক বাইরে যাওয়া যাবে না। বাইরে যেতে হলে তাদের ভলো গরম কাপড় পড়াতে হবে।'

এদিকে চুয়াডাঙ্গার হাসপাতালের বহির্বিভাগেও রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। শুধু বহির্বিভাগেই প্রতিদিন গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। আর হাসপাতালে ভর্তি আছেন শয্যা সংখ্যার চেয়ে ৩ গুণ বেশি রোগী।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, গেল এক সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ ২ হাজারের বেশি রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে চিকিৎসা নেয়।

শীতজনিত রোগ-বালাই থেকে বাঁচতে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি যত্নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।

এসএস