নাটোর সদর উপজেলার সিহাব হোসেনের স্ত্রী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুপুত্রকে ভর্তি করেছেন ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। কিন্তু শয্যা না পাওয়ার পাশাপাশি, স্যালাইন, ক্যানোলাসহ প্রয়োজনীয় সব ওষুধই কিনতে হয়েছে বাইরের ফার্মেসি থেকে। অথচ হাসপাতাল থেকেই এসব সরবরাহের কথা।
সদর হাসপাতালে নিয়ম অনুযায়ী ৬৬ ধরনের ওষুধ সরবরাহের কথা থাকলেও, বর্তমানে মাত্র ২৪ ধরনের ওষুধ মিলছে। ফার্মেসি থেকে অর্ধেকেরও কম ওষুধ দেয়া হচ্ছে, ফলে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট বা সাধারণ জ্বরের রোগীদেরও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
সময়মতো দরপত্র আহ্বান না করার এ সংকট তৈরি হয়েছে। তবে দ্রুত সমাধানে ৫ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মোক্তাদির আরেফিন বলেন, ‘এ সমস্যা অতি দ্রুত ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। এর ফলে ওষুধসহ সব ধরনের সেবা পরিপূর্ণভাবে আমাদের হাসপাতালে চালু করা সম্ভব হবে।’
এদিকে, প্রতিদিন এই হাসপাতালে দুই শতাধিক বহির্বিভাগের রোগী ও অনুমোদিত শয্যার চার গুণ রোগী চিকিৎসা নেন। তাই ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি ভুক্তভোগীদের।