দুই ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ১টি ট্রাক নদীর কিনারায় আনতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী জাহাজ 'রুস্তম'।
তবে নদীর কিনারা থেকে পাড়ে তুলতে সময় লাগে আরও ১ ঘণ্টা। দড়ি ছিড়ে যাওয়াসহ নানা সীমাবদ্ধতায় বেগ পেতে হয়েছে বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের। গাড়িটি উদ্ধার করা গেলেও ট্রাকে থাকা তুলা নদীতে ভেসে যায়।
ভুক্তভোগী মালিক ও গাড়ি চালকের অভিযোগ দায়িত্বরতদের অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিনও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ দ্বিতীয় মাস্টার হুমায়ূন কবিরের। স্বজন ও সহকর্মীদের অভিযোগ উদ্ধার তৎপরতার গতি ও ধরণ নিয়ে।
স্বজনরা বলেন, 'আমরা খুবই মর্মাহত, যদি তার লাশটা একটু দেখতে পারতাম তাহলে একটু শান্তি পাইতাম।'
তবে দায়িত্বরতরা বলছেন বিআইডব্লিউটিএ'র নির্দেশনায় যৌথভাবে কাজ করছেন তারা।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, 'দুটি ডুবুরি টিমসহ আমরা মোট ২৫ জন আছি এই উদ্ধার কাজে। বিআইডব্লিউটিএ'র নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ পরিচালনা করছি।'
বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক মো. শাহ জাহান বলেন, 'পদ্মায় স্রোত এবং কুয়াশা আছে, ওখানে ৪০-৫০ ফিট পানি আছে। গত দু’দিনে কিছুটা বালি জমেছে। এগুলো অপসারণ করে আমাদের উদ্ধার করতে কিছুটা সময় লাগবে।'
বৃহস্পতিবার সকালে ২টি উদ্ধারকারী জাহাজ আসার কথা থাকলেও বেলা সাড়ে ১১ টায় একটির দেখা মিলেছে, দিন শেষেও আরেকটা পৌঁছায়নি।
মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমীন বলেন, 'আমরা আগে উদ্ধার কার্যত্রম চালাচ্ছি। উদ্ধারের পর আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। বিলম্ব হওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা যখন যোগাযোগ করেছি তারা তখনই রওনা করেছে। তারা দ্রুতই চলে আসবে উদ্ধার কাজে কোন সমস্যা হবে না।'