লড়াই শেষে কেউ হেসেছেন বিজয়ের হাসি, কেউ আবার পরাজয়ে শোকাভিভূত।
প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই বাজিমাত করেছেন সাকিব আল হাসান। মাগুরা-১ আসন থেকে জিতেছেন বিশাল ব্যবধানে। ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সাকিব।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে টানা দুইবার নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করলেন নড়াইল-২ আসনের ভোটাররা। মাশরাফীর প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০২।
সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেন, 'সংসদ সদস্য হিসেবে সবসময় চেয়েছি এবং ভবিষ্যতেও চাইবো নড়াইলের মানুষজন যেন সুখে-শান্তিতে থাকে।'
এদিকে প্রায় ২ লাখ ভোট পেয়ে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। বিসিবির আরেক পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল মৌলভীবাজার-২ থেকে ৭২ হাজার ৭১৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, 'এটা আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতেই হবে। আমি মনে করি সকলের সহযোগিতা নিয়ে সেটা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।'
ক্রিকেটারদের জয়জয়কারে বাদ যায়নি ফুটবলও। যশোর-৩ থেকে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ।
তৃতীয়বারের মতো খুলনা-৪ থেকে সংসদে পা রাখবেন সাবেক ফুটবলার ও বর্তমানে বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী। ২৫ হাজার ৩০১ ভোটের ব্যবধানে জয় পান তিনি।
এদিকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও উড়িয়েছেন বিজয়ের পতাকা। গাজীপুর-২ আসন থেকে জয়লাভ করেন তিনি। বলেন, 'আবারো যদি মন্ত্রী হতে পারি তাহলে সকলকে সাথে নিয়ে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করবো। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়টি সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে।'
জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আছে হারের খবরও। ভোটের মাঠে প্রায় চমক দেখিয়ে ফেলেছিলেন বাফুফের সহ সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। নোয়াখালী-২ আসনে ব্যবসায়ী মোরশেদ আলমের সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বাফুফের অন্যতম এই নীতিনির্ধারক।
তবে মাত্র ৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন মানিক। ফুটবল মাঠে অনেক সাফল্য থাকলেও ভোটের মাঠে পরাজিত সৈনিক আরিফ খান জয়। ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন নৌকার প্রার্থী আশরাফ আলী খান খসরুর কাছে।