নওগাঁর সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার। এখানকার জবই বিলের আয়তন প্রায় ১ হাজার একর। তবে প্রতি বর্ষায় এর আয়তন বেড়ে হয় প্রায় তিনগুণ।
যেখানে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে শোল, বোয়াল, চিতল, আইড়, পাবদা, টেংরা, খলিশা, চাপিলা ও রুই-কাতলাসহ নানা প্রজাতির মাছ।
বছরের অন্য সময় এখানে মাছ শিকার বন্ধ থাকলেও ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত মাছ শিকারের জন্য উন্মুক্ত থাকে এই জলাশয়। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মৎস্যচাষ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় থাকা ৭৯৯ জনের মধ্যে ৪৭১ জন মৎস্যজীবী মাছ ধরা শুরু করেন।
এক জেলে বলেন, 'আট মণ বড়মাছ পাওয়ার সাথে সাত মণের মত ছোটমাছও পেয়েছি। হিসেব করে দেখা গেছে ৯০-৯৫ হাজার টাকা লাভ পেয়েছি।'
প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা মাছ কেনার পাশাপাশি মাছ ধরা দেখতে বিলের পাড়ে ভিড় করেন শত শত মানুষ দর্শণার্থীরা বলেন, 'এখানে মাছ ধরা দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভালো লাগছে।'
![](https://images.ekhon.tv/fish.webp)
মাছ পেয়ে আনন্দিত এক জেলে
মাছ কিনতে বিল পাড়ে বসেছে অস্থায়ী আড়ৎ। স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এই মাছের রয়েছে বেশ চাহিদা। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার মাছ চলে যাবে বিভিন্ন জেলায়। একদিনে প্রায় ৬০ লাখ টাকার মাছ বিক্রির আশা ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এই বিলের মাছ খুব সুস্বাদু্ চাহিদা অনেক। প্রথম দিনেই ৫০-৬০ লাখ টাকার বেচাকেনা হয়।
এ বছর মাছ শিকারের জন্য ৩১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে ১৬ লাখ ১৬০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে বাকি টাকা ব্যয় হবে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. রুজিনা পারভীন বলেন, 'ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত তারা ইচ্ছানুযায়ী মাছ ধরতে পারবে। এক টিকেটেই মাছ ধরতে পারবে।'
গেল বছর এখান থেকে ৫২৭ টন মাছ ধরা হয়। যার মূল্য ছিল প্রায় ২৪ কোটি টাকা। এবার অন্তত ৩০ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।