দেশে এখন
0

রাজধানীতে ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার হার বেড়েছে

করোনার সময় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য গতি হারিয়েছিলো। যদিও তার প্রভাব খুব একটা পড়েনি ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার ওপর, কোভিডের পর ফের গতি ফিরে পায় এই খাত।

২০২২ সালের পর থেকে রাজধানীতে ট্রেড লাইসেন্স নেয়ার হার বেড়েছে। শুধু নতুন ট্রেড লাইসেন্সই নয়, লাইসেন্স নবায়নের হারও বেড়েছে।

রাজধানীর ভাটারার জাকির হোসেন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করেন। তিনি বলেন, ‘কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করেছিলাম। পরে আঞ্চলিক অফিস থেকে নবায়নকৃত লাইসেন্স সংগ্রহ করি।’

জাকির হোসেনের মতো অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স করতে পারলেও কারো আবার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। হতাশা প্রকাশ করে একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘লাইসেন্স নবায়নের জন্য ৩ থেকে ৪ বার আসছি। কিন্তু এখনও নবায়ন হয়নি।’

এদিকে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা তিক্ত কিংবা মধুর যেটাই হোক না কেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ট্রেড লাইসেন্স অনুমোদন এবং এর ফি আদায়ের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

ডিএনসিসি’র তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২৭ হাজার ২১৪টি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৯৫টিতে, আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে উত্তর সিটি করপোরেশন নতুন ও নবায়ন মিলিয়ে মোট ৩ লাখ ১ হাজার ৪৮৯টি ট্রেড লাইসেন্সের অনুমোদন দেয়।

আর ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সর্বোচ্চ সংখ্যক ট্রেড লাইসেন্সের অনুমোদন দেয়। যার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৩টি। যদিও গত অর্থবছরে এসে ট্রেড লাইসেন্স অনুমোদনে ধাক্কা খায় ডিএনসিসি।

ডিএনসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘করোনার পর মানুষ নতুন করে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেছে। এজন্য ট্রেড লাইসেন্স নবায়নও বেড়েছে। এছাড়া নতুন করে ট্রেড লাইসেন্স করার প্রবণতাও দেখছি।’

এছাড়া গত ৫ বছরে ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায়ের হার বেড়েছে উত্তর সিটিতে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সংস্থাটি ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায় করে ৫০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, ২০১৮-১৯ এ যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ কোটি ৫২ লাখ টাকায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সংস্থাটি ট্রেড লাইসেন্স থেকে সর্বোচ্চ আয় করে। যার পরিমাণ ছিলো ৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যদিও ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসে ডিএনসিসি’র ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায় ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা কমে যায়।

এদিকে গত ৫ বছরে ট্রেড লাইসেন্স অনুমোদন এবং ফি আদায় থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিও পিছিয়ে নেই। ২০২১-২২ অর্থবছরে ডিএসসিসি’র ট্রেড লাইসেন্স বিতরণের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৭টি। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ট্রেড লাইসেন্সের অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।

ট্রেড লাইসেন্সের অনুমোদনের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে গত ৫ বছরে ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায়ের হার বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি ট্রেড লাইসেন্স থেকে সর্বোচ্চ আয় করে, যার পরিমাণ ছিল ৭৭ কোটি ৭ লাখ টাকা।

ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের আগে যত রকম ভোগান্তি ছিল, সব সমস্যার সমাধানে আমরা নিয়মিত কাজ করছি।’