কুয়াশা ছুঁয়ে শাক-সবজি তুলেন কৃষাণীরা। নদীর শীতল জলে শরীর ভিজিয়েছে বালু শ্রমিকরা। ভোরের হাওয়া মেখে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে ছুটে চলছে একদল মানুষ। বেলা বাড়তে কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকা চারপাশে আস্তে আস্তে দেখা মেলে সূর্যের।
স্থানীয়রা জানান, বাইরে থেকে অনেকেই এই শীত উপভোগ করতে আসছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শীতের পরিমাণ কম।
শীত প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে উপভোগের হলেও তীব্রতা বাড়লে তা নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি বাড়ে রোগবালাই।
রোগির স্বজনরা বলেন, ‘বাচ্চার ডায়রিয়া ও সর্দি-জ্বরের কারণে কয়েকদিন যাবত হাসপাতালে আছি। হাসপাতালে বিছানা নাই তাই ঠাণ্ডা বেশি লাগছে।'
দেরিতে শীত আসার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা। আর আবহাওয়া অফিস বলছে চলতি মাসের শেষে বাড়বে শীতের দাপট।
পঞ্চগড় পরিবেশ পরিষদের সভাপতি তৌহিদুল বারী বাবু বলেন, ‘সাইবেরিয়া থেকে এই সময়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ঠান্ডা বাতাস আসার কথা থাকলেও গরম বাতাস সেটাকে আসতে দিচ্ছেনা। যার ফলে শীতের তীব্রতা কম।'
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ‘দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়।'
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরআগে ২০১৮ সালে তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ২. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।