১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বিজয়ের আগমুহূর্তে বিষাদের দিন। পরাজয় নিশ্চিত জেনে এ দিনে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে যেখানে ফেলা রাখা হয়েছিলো ক্ষত-বিক্ষত লাশ, সেখানে উঠেছে শোকের মিনার। শহীদদের স্মরণে সেই মিনারেই লাখো জনতার ঢল।
অগ্রহায়ণের শিশির ভেজা সকালেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দলে দলে আসতে থাকে সর্বস্তরের মানুষ। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ভরে ওঠে বধ্যভূমির প্রাঙ্গণ। বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা।
এ সময় সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিক্ষাবিদদের কন্ঠে ঝরে বুদ্ধিজীবীদের হারানোর অপূরনীয় ক্ষতির আক্ষেপ।
শিক্ষার্থীরা জানান, '২৬ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেক বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়েছে। তাদের স্মৃতিচারণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে আমরা এখানে এসেছি।'
রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ফুল দিতে এসে শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর সন্তান বলেন, 'যে অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্নে বুদ্ধিজীবীরা প্রাণ দিয়েছিলেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেই তাদের ত্যাগ স্বার্থক হবে।'
আসিফ মুনীর বলেন, 'বাংলাদেশ সংবিধানের চার মূলনীতি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। এ চারটি এখনো পূরণ করতে পারিনি আমরা।'