দেশে এখন
0

বায়ু দূষণ, যানজট, জলজটে নাকাল উত্তর সিটি

শাহনুর শাকিব

ঢাকা উত্তর সিটিকে বাসযোগ্য করার প্রত্যাশা ভোটারদের

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড হিসেবে সংযুক্ত উত্তরখান, দক্ষিণখান, চামুরখান, মৈনারটেক থেকে উজামপুর পর্যন্ত সড়কের অবস্থা ভালো না। এই এলাকাটি ঢাকা ১৮ আসনেরও অন্তর্ভুক্ত। নির্বাচন সামনে রেখে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, পরিস্থিতির পরিবর্তন হোক। তারা বলেন, 'এ রাস্তা সিটি করপোরেশনের আওতায়, রাস্তার পরিবর্তন করা জরুরি। আমাদের কাজের জায়গায় পৌঁছার জন্য রাস্তাঘাটে কাজ করতে হবে।'

আয়তনের দিক থেকে ঢাকা ১৮ কে মহানগরীর মধ্যে সবচেয়ে বড় সংসদীয় আসন বলা যায়। এখনে আছে টঙ্গী নদীবন্দর এলাকা। এটি একইসঙ্গে ঢাকা ১৮ এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সবশেষ এলাকা। এভাবে তুরাগ নদীকে কেন্দ্র করে ডুমনি পাতিরা থেকে ধউর, কামারপাড়া এই আসনের সীমানা। এভাবে ঢাকা উত্তরের মধ্যে পড়া আরও কয়েকটি সংসদীয় আসন শহরতলীর এলাকাকে স্পর্শ করেছে।

কাউন্দিয়া, দিয়াবাড়ির পাড় থেকে ক্রমে ছোট হয়ে আসা একটি নদীর দূরত্ব হলেও এ ইউনিয়নটি সাভার উপজেলার অন্তর্গত। এটি ঢাকা ১৪ আসন। খেয়া করা নৌকার মাঝিরাও বলছেন, তারা বঞ্চনার অবসান চান।

মাঝিরা বলেন, 'কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জরুরি ব্যবস্থা নেই, নদীর মধ্যে ভেসে থাকতে হয়। এখানে একটা ব্রিজ দেওয়ার কথা থাকলেও তার কোনো খোঁজ নেই। বাংলা কলেজ, মিরপুর কাছে হলেও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার জন্য সাভার যেতে হয়।'

ঢাকা ১৪ এর সীমানা পড়েছে আমিনবাজার থেকে গাবতলী, মিরপুর সেকশন ১ ও ২ কল্যাণপুর, দারুস সালাম পর্যন্ত। এবং এর পরেই ঢাকা ১৩ আসনের এলাকা শুরু।

আগারগাঁও থেকে জাফরাবাদ পর্যন্ত ঢাকা ১৩। শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি অপেক্ষাকৃত গোছানো এলাকা হলেও, এখনও ধুলার রাজ্য বছিলার মত নির্মাণধীন এলাকাগুলো। ছড়িয়ে থাকা ডাস্টবিনের ময়লা, সড়কের অব্যবস্থাপনা, ফুটপাত না থাকার অভিযোগ এনে এখানকার তরুণ, কিশোরেরাও বলছেন, নেতৃত্বে যারাই আসুক তারা চান, এ চেহারা বদলে যাক। বলেন, 'আশেপাশের সব জায়গার উন্নতি হলেও রাস্তার যে ধূলাবালি এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ধূলাবালি আর শব্দ দূষণ অতিরিক্ত এখানে।'

মিরপুর সেকশন ৯, ১০, ১১, ১২ কালশী, বুড়ির টেক, মদিনা নগর, পলাশনগর, পল্লবী থেকে ইস্টার্ন হাউজিং ও রুপনগর এলাকা নিয়ে ঢাকা ১৬ আসন। ওদিকে বাইশটেকি থেকে মনিপুর, শেওড়াপাড়া থেকে কচুক্ষেত ঢাকা ১৫ আসন। অপেক্ষাকৃত ঘিঞ্জি এলাকার এসব মানুষ জলবদ্ধতা থেকে মুক্তি চান।

মগবাজার ওয়ারলেস থেকে ইস্কাটন, তেজগাঁও, গ্রিনরোড, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট হয়ে মনিপুরীপাড়া পর্যন্ত ঢাকা ১২ আসন। আবার রামপুরা থেকে বাড্ডা টু গুলশান লিঙ্ক, উত্তর-দক্ষিণ, মধ্য বাড্ডা ঢাকা ১১ এর অন্তর্ভুক্ত।

মানিকদী, মাটিকাটা থেকে বারিধারা, বনানী, গুলশান ১ ও ২, মহাখালী থেকে নিকেতন এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা ১৭ এর এলাকা। কড়াইলসহ বস্তি এলাকা বাদে এসব এলাকার পরিকল্পিত নগরায়নের উদাহরণ টেনে সেবা ও সুবিধায় পিছিয়ে থাকা নগরবাসীরা এটাই বলছেন, সিটি করপোরেশন কিংবা সংসদীয় আসন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কিংবা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ যেই হোক, তারা তাদের জীবনকে সহজ করতে এলাকায় পরিকল্পিত কাজ চান।

এসএস