বিদেশে এখন , মধ্যপ্রাচ্য
0

হামাসের টানেল ধ্বংসে সমুদ্রের পানি

হামাসের টানেলের কার্যকারিতা বন্ধ করতে সমুদ্রের নোনা পানি ঢালছে ইসরাইল। যা গাজা উপত্যকার সুপেয় পানি সংকটকে আরও তীব্রতর করবে।

হামাসকে নির্মূলের নামে বোমা ও বুলেটের আঘাতে ফিলিস্তিনিদের হত্যা ছাড়াও গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করছে ইসরাইলি বাহিনী। আগ্রাসী খেলায় হাতিয়ার হিসেবে অত্যাধুনিক মরণাস্ত্রের সঙ্গে সমুদ্রের পানি যোগ করেছে। গোলকধাঁধার মতো বিস্তৃত টানেলগুলোতে নোনা জল ঢালা হচ্ছে। আর এটিকে হামাসের ভূগর্ভস্থ অবকাঠামোর হুমকি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে ইসরাইল।

সুরঙ্গ পথে সমুদ্রের লবনাক্ত পানি ঢালতে থাকায়, এটি ভূগর্ভস্থ মিঠা পানিকে দূষিত করবে এবং গাজার জীবনযাত্রাকে আরও বিপর্যস্ত করে তোলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একসময় অবরুদ্ধ গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় যুক্ত থাকা প্রকৌশলী মার্ক জেইতুনের ধারণা- এর জন্য গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দাকে দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি ভোগ করতে হবে।

কারণ ইসরাইলি অবরোধে ৯ অক্টোবর থেকে এমনিতেই খাদ্য, সুপেয় পানি, জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে গাজাবাসী। বাড়তি সমস্যা হিসেবে পয়ঃনিষ্কাশন দূষণ যোগ হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ অনেক সংঘাতে পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ইতিহাস থাকলেও গাজার বিষয়টিকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই এখানকার প্রায় ২০ লাখ বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনি লোনা ও অপরিশোধিত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে পানিবাহিত রোগ বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, গাজায় আমাশয় আক্রান্ত ফিলিস্তিনির সংখ্যা অনেক আগে এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে ইসরাইলি বর্বরতার চিত্র বিশ্লেষণ করতে গিয়ে জলবায়ু ও উদ্বাস্তু বিশেষজ্ঞ আমালি টাওয়ার বলছেন- গাজা বিশ্বের অন্যতম দূষিত ও জলবায়ুর দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। ভূখণ্ডটিতে দিন দিন আরও বেশি বিষাক্ত পদার্থ যুক্ত হচ্ছে। কারণ বর্তমান ও আগের যুদ্ধে হাজার হাজার বিস্ফোরক দ্রব্য বায়ু ও স্থলভাগকে দূষিত করছে।