ক্রেতার আশায় বসে আছেন রমিজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী। কিন্তু বৃষ্টিতে যেন সব আশায় গুঁড়ে বালি। ভোর থেকে বৃষ্টির তোড়ে অনেক ক্রেতাই আসতে পারেনি বাজারে। তার উপর জলাবদ্ধতায় পানির মধ্যেই বসিয়েছেন দোকান।
তিনি বলেন, 'বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা নাই। ভাবছি যে লোকজন আসবে কিন্তু বাজার খালি। আমার সবটাই লোকসান।'
পাইকারি বাজারেও বিক্রেতা না পেয়ে অনেকেই ফেলে গেছেন সবজি। পানিতে ভাসতে দেখা যায় লাউ, বেগুনসহ অনেক সবজি।
ক্রেতাশূন্য বাজার; তবুও দাম বেড়েছে অনেক পণ্যেরই। বেড়েছে আলুর দাম, ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা। পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা। ২০০ টাকার কাঁচামরিচ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। জলাবদ্ধ সড়ক পেরিয়ে যারা এসেছেন বাজারে তাদের অভিযোগ দাম নিয়েই।
ক্রেতারা বলেন, সবকিছুর দামই বাড়তি। বৃষ্টি হলেই একটা সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে দেয়। শুধু জিনিসের দাম বাড়ে কিন্তু আমাদের বেতন বাড়ে না। বৃষ্টি হলে দাম কমার কথা।
দাম কমার তালিকায় আছে ঢেঁড়শ, পটল, বেগুন, করলা, টেমেটো, লেবু, লাউ, কুমড়াসহ অনেক পণ্য। ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে এসব সবজিতে। অন্যদিকে কমেছে ডিমের দাম, ১৫০ টাকার ডিম ১৪০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
মাছবাজারে বেড়েছে দাম। সরবরাহ কম থাকায় উচ্চমূল্য বলে জানান বিক্রেতারা। ক্রেতার সংখ্যা কম। কিন্তু তাতেও দর যেন কমছেই না। চাষের মাছ ও দেশিয় অনেক মাছে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতাদের দাবি, বাজারে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় নজর দেয়ার, সাথে সাথে দাম নিয়ন্ত্রণে বাড়াতে হবে বাজার তদারকি।