ফুচকা বলতেই পুরান ঢাকার মানুষের মুখে যে নামটি সবার আগে আসে তা হলো জুম্মনের ফুচকা। ৬২ বছরের পুরনো এই খাবার খেতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিড় করেন মানুষ। ফুচকাপ্রেমীরা জানান, ভিন্ন স্বাদের জন্যই এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পুরান ঢাকার জুম্মনের ফুচকা। তরুণ-তরুণী, মাঝবয়সী আর বৃদ্ধ সবার কাছেই প্রিয় একটি খাবার। আরমানিটোলার তারামসজিদ এলাকায় ছোট্ট এই দোকানটিতে প্রতিদিন বসে ফুচকাপ্রেমিদের আড্ডা । বিকেল থেকেই ফুচকার ওর্ডার দিতে ব্যস্ত সবাই। কারো ফুচকার সঙ্গে চাই দইয়ের টক, কারো আবার ঝাল টক, কেউ চাইছেন মিষ্টি টক। কেউবা আবার অর্ডার করছেন চটপটি কিংবা আলুর দম।
পুরান ঢাকার মানুষের কাছে এটি জুম্মনের ফুচকা নামে পরিচিত। প্রতিদিন বিকেলে এখানে ভিড় করেন ফুচকা প্রেমিরা। শুধু পুরান ঢাকা নয়, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকেই জুম্মনের ফুচকা খেতে আসেন এখানে। এই দোকানের ফুচকার স্বাদ কেনই বা অন্যদের চেয়ে আলাদা? কারণ জানালেন দ্বিতীয় প্রজন্মের বাবুল হাসান। তিনি বলেন, এ ফুচকার স্বাদ ভিন্ন কারন এর সব উপকরণ তারা নিজেরা তৈরি করেন।
ফুচকার এই দোকানটির রয়েছে প্রায় ৬২ বছরের ইতিহাস। ১৯৬০ সালে বাবুল হাসানের বাবা জুম্মন সাহেব ফুচকা বিক্রি শুরু করেন। জুম্মনের হাতের যাদুকরী ফুচকার স্বাদ ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। বাবার সেই কৌশল খুব ভালো করেই রপ্ত করেন ছেলে বাবুল। জুম্মনের মৃত্যুর পর ব্যবসার হাল ধরেন তিনি। সাহায্য করেন পরিবারের অন্যরাও।
ফুচকা, চটপটি কিংবা আলুর দম। যা কিছুই নিবেন না কেন, প্রতি প্লেটের মূল্য ৫০ টাকা। প্রতিদিন তিনশরও বেশি প্লেট বিক্রি হয় এই দোকানে। প্রতিদিন বিকেল ৪ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে জুম্মনের ফুচকার দোকান।