মেক্সিকোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকায় গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২০ জুন) আঘাত হানে মৌসুমি ঝড় আলবার্তো। এরপর ঝড়ো হাওয়ার তাণ্ডব দুর্বল হতেই দৃশ্যমান হতে থাকে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন।
পানির উত্তাল তরঙ্গে ফাটল দেখা দেয় মন্টেরিতে শহর লাগোয়া নদীর তীরে। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টি যুক্ত হয়ে বন্যার কবলে পড়েছে মেক্সিকোর উপকূলীয় এলাকা। নুয়েভো লিওন রাজ্যে প্রাণ গেছে শিশুসহ বেশ কয়েকজনের। এই ঝড়ের ফলে প্রভাব পড়েছে সমুদ্র এলাকার পর্যটন ব্যবসায়।
এই মৌসুমি ঝড়ে মেক্সিকোর উপকূলীয় এলাকার অনেকাংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেলেও তামাউলিপাস রাজ্যের মধ্যাঞ্চলের দৃশ্য একেবারেই ভিন্ন। এই অংশ দেখলে মনে হবে যেন মুদ্রার আরেক পিঠ। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে খরায় ধুঁকতে থাকা জেলেদের সীমাহীন দুর্ভোগের পাল্লায় লাগেনি বিন্দুমাত্র স্বস্তির হাওয়া। যার কারণে মাছ ধরার জায়গা খুঁজে পাওয়ার লড়াইটা আরও দীর্ঘ হলো তাদের। তাই আয় নিয়ে চিন্তায় আছে জেলেরা।
স্থানীয় একজন জেলে বলেন, 'আমরা খরার সাথে অনেক লড়াই করছি। পানি না থাকায় মাছ ধরতে যেতে পারছি না। কিছু সহকর্মী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মাছ ধরা ছাড়াই রয়েছেন। মাছ ধরার জায়গাগুলোতে যেতে টেনে টেনে নৌকাগুলো নিতে হবে। যা প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া সেখানেও পর্যাপ্ত পানি নেই। আর পর্যাপ্ত পানি না থাকলে নৌকার ইঞ্জিন চালু করা যায় না।'
এদিকে একই ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে বন্যার কবলে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ব্রাজোরিয়া কাউন্টির সার্ফসাইড বিচ এলাকার বাসিন্দারা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ায় দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। বন্যায় শহরটির আরও ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে বলে শঙ্কা করছে অনেক বাসিন্দা।
স্থানীয় একজন বলেন, 'আমরা কি পুনরুদ্ধার করতে পারি? আমরা কি আমাদের বাড়ি মেরামত করার সামর্থ্য রাখতে পারি? এমনও লোক আছেন যারা তাদের উঠোন পরিষ্কার করার সামর্থ্য রাখে না। আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় সমুদ্র সৈকত এলাকার মানুষদের নিয়ে। কারণ সেখানে ঝড়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।'
মৌসুমি ঝড়টির টেক্সাস অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার। এছাড়া মেক্সিকোতে ছিল ৫৫ কিলোমিটার।