পর্ন তারকাকে ঘুষ দেয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে। মামলার যুক্তিতর্ক শেষ। রায় আসতে পারে যেকোনো সময়। হাশ মানি মামলায় ৬ সপ্তাহ ধরে সাক্ষ্য দেন ২২ জন। পরে ট্রাম্পের আইনজীবী ও কৌসুলিদের প্রায় ১১ ঘণ্টার যুক্তিতর্ক শোনে আদালত।
রায়ের ব্যাপারে জুরিদের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হবে। প্রথম দিনের আলোচনা শেষে কোনো রায় জানাতে পারেনি জুরি বোর্ড। ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে জুরি বোর্ডের সবাইকে একমত হতে হবে।
যদি তারা একমত হতে না পারেন তাহলে, আরও দুইবার আলোচনায় বসবেন। তারপরও কোনো সিদ্ধান্ত আসতে না পারলে বিচারক মামলাটিকে অমীমাংসিত ঘোষণা করতে পারেন। জুরিরা ট্রাম্পকে সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত অথবা খালাসও দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে মিশ্র রায়ও আসতে পারে।
২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলের মুখ বন্ধ রাখার জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দেয়ার অভিযোগ উঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এসব লেনদেন ধামাচাপা দিতে ৩৪টি ব্যবসায়িক রেকর্ডে মিথ্যা তথ্য দেন ট্রাম্প।
আসন্ন নির্বাচন থেকে তাকে সরানোর জন্য এই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেন, 'এই মামলায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের ডাকা হয়নি। কেন তারা সেই সাক্ষীদের ডাকেনি? কারণ তাদের ডাকলে তারা আমার পক্ষে সত্য বলতো। এটা খুবই লজ্জাজনক।'
অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সর্বোচ্চ ১ থেকে ৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের। তবে বয়স বিবেচনায় ট্রাম্পকে আর্থিক জরিমানা অথবা কারাবন্দি না রাখার সিদ্ধান্তও আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হলেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি ফৌজদারি মামলা চলমান। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গা। তবে সেগুলোর বিচারকাজ আসন্ন নির্বাচনের আগে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।