সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেনের স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনটি পাসের ঘটনাকে 'বিশ্ব শান্তির জন্য শুভ দিন' হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন বলেন, 'এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রকে আরও নিরাপদ করবে।'
এর মধ্যে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন অস্ত্র, মজুত এবং অন্যান্য সুবিধা পুনরায় পূরণ করতে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিতে সহায়তার অর্থ সরবরাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
এদিকে সিনেটে বিল পাস হওয়ার কয়েক মিনিট পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, 'আমি এ বিল পাসে জোরালো ভূমিকা পালনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার এবং রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেলকে ধন্যবাদ জানাই।' সেই সাথে এ বিলের পক্ষে ভোট দেওয়া উভয় পক্ষের সকল মার্কিন সিনেটরদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
এই সহায়তা প্যাকেজে ইসরাইলকে ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করবে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও গাজায় আগ্রাসন ও নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য দেশটিতে মার্কিন সহায়তা সীমাবদ্ধ করার আহ্বান ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গত সাত মাসে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। তবে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করার চেষ্টা হিসেবে নতুন এই সহায়তার কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাইডেন বলেন, 'ইসরায়েলের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি - আমি আবারও স্পষ্ট করতে চাই - লোহার আবরণের মতো দৃঢ়। ইসরায়েলের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সমর্থনকারীরা দ্রুত এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। তারা জোর দিয়ে বলছেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গভীর রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিলটি পাস করায় আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ সময় তিনি বলেন, 'গুরুত্বপূর্ণ এই আইন আমাদের দেশ ও বিশ্বকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। আমরা আমাদের সেই বন্ধুদের সহায়তা করছি, যারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় লড়াই করছে।'