উত্তরপশ্চিম ইউরোপের দ্বীপ রাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড। ২০২৪ সালে ইউরোস্ট্যাটের জরিপ অনুযায়ী ৭০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের এই দেশটিতে মোট জনসংখ্যা ৫৩ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ইউরোপিয়ান নাগরিকদের ভিড় বাড়ছে।
অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ও সন্তানদের উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার কথা ভেবে বাংলাদেশি প্রবাসীরা আয়ারল্যান্ডমুখী হচ্ছেন বলে জানা গেছে। ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য বের হয়ে যাওয়ার পর ইউরোপে থাকা বাংলাদেশিদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে এই দেশটি।
আয়ারল্যান্ড প্রবাসী জসিম রানা বলেন, ‘এখানে অনেক উন্নত লেখাপড়ার সুযোগ রয়েছে। ইউরোপীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত অনেকেই এখানে নাগরিক হওয়ার চেষ্টা করছে।’
উন্নত অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে তৃতীয় এবং উচ্চমূল্যের বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ প্রবাহের জন্য প্রথম স্থানে থাকা আয়ারল্যান্ডেও গড়ে উঠেছে বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ। জনপ্রিয়তা রয়েছে আইরিশদের কাছেও।
আয়ারল্যান্ডের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আনোয়ার খান হারুন বলেন, ‘আমরা ইন্ডিয়ান ফুডগুলো বিশেষ করে আইরিশদের জন্য করে থাকি। আইরিশরা ইন্ডিয়ান খাবার খুব পছন্দ করে।’
উন্নত জীবনমানের বিপরীতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও আছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশিরা।
আরেক প্রবাসী মঞ্জুরুল করিম লিটন বলেন, ‘ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় আয়ারল্যান্ড আয়-ব্যয় দুটোই বেশি।’
খালেদ হোসেন সোহেল নামের আরেক প্রবাসী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্যান্য বাঙালি আসলে তারা হয়ত কাজ পাবে। তবে এখানে বাসা পাওয়া খুব কষ্টের ব্যাপার।’
এ অবস্থায় ইউরোপের এই দেশটি বসবাসের জন্য পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকলেও, সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ আয়ারল্যান্ডে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের।