গাজায় যুদ্ধবিরতির আনন্দ যেন ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের জন্য। কোনোভাবেই ইসরাইলি সেনাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না তারা। মঙ্গলবার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে ফের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করলেও কেন পশ্চিম তীরে হানা দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা? এমন প্রশ্ন সেখানকার লাখো ফিলিস্তিনির। যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকার পরও কেন তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালাতে হচ্ছে, সে প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারও। কবে নাগাদ সুরাহা হবে এই সংকটের, তাও জানেনা কেউ।
ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘ইসরাইলি সেনারা আমাদের অনেক হয়রানি করেছে। ক্যাম্পের ভেতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা জানার জন্য আমার কাছে নানান প্রশ্ন করে। বলেছি এ সম্পর্কে কিছুই জানা নেই আমার। আমি বাড়িতে ছিলাম।’
আরেকজন বলেন, ‘ইসরাইল ও ফিলিস্তিন দুপক্ষের গোলাগুলির মাঝখানে পড়ে যাই আমি। খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়ি। সঙ্গে আমার সন্তানও ছিল।’
এদিকে যুদ্ধবিরতির ৫ দিন পর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকা পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘ প্রতিনিধি। জানান, গেল প্রায় ১৬ মাস ধরা চলা যুদ্ধে বিপুল পরিমাণ মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে গাজায়, যা অপসারণে সময় লাগবে অন্তত ২১ বছর। আর খরচ হবে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার।
মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের প্রতিনিধি সিগ্রিড কাগ বলেন, ‘আশা করছি যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে। গাজায় সাধারণ মানুষের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই আমার কাছে এসে মাথা গোঁজার ঠাঁই চাইছেন।’
এ পরিস্থিতির মধ্যেই ৮০০ মানবিক সহায়তা বোঝাই ট্রাক প্রবেশ করেছে গাজায়। যা দেখে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
এদিকে প্রায় ১ বছর পর মুক্তি মিলেছে লোহিত সাগরে গ্যালাক্সি লিডার জাহাজ থেকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হাতে আটক ২৫ বন্দির। যাদের মধ্যে রয়েছে বুলগেরিয়া, ইউক্রেন, ফিলিপিন্স, মেক্সিকো ও রোমানিয়ার নাগরিক।