একদিকে বায়ুদূষণ, অন্যদিকে শীতের আগমনি বার্তায় তাপমাত্রা কমতে থাকায় বাড়ছে কুয়াশার পরিমাণ। ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল এখন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। ঘন কুয়াশা ও দূষিত বায়ুতে ঢাকা পড়েছে আগ্রার তাজমহল। বায়ুদূষণের তীব্রতা বাড়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে শহরের সব নির্মাণকাজ ও প্রাথমিক স্কুল।
আগ্রায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। পাশাপাশি চলছে শস্যের গোড়া বা আগাছা পোড়ানো। প্রতি বছর এ নিয়ে অভিযোগ উঠলেও দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। দূষণ ঠেকাতে এবার কৃষকদের সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার পর্যন্ত ঘন ধোঁয়ায় ঢাকা থাকতে পারে গোটা আগ্রা।
ভারতের পরিবেশবিদ ভবরীন কান্ধারি বলেন, ‘বায়ুদূষণ রোধে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে। অফিসের সময় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রাখা হয়েছে। বায়ুদূষণের জন্য শহরের নির্মাণ কাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সরকারকে এ ধরনের পদক্ষেপ সারা বছরজুড়েই চালিয়ে যেতে হবে।’
বাতাসের দূষণের কারণে দিল্লি ও উত্তর ভারতে ব্যাহত হচ্ছে বিমান ও ট্রেন চলাচল। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা। এমন পরিবেশে বাইরে চলাচল করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন দিল্লির বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আগে পরিবেশ ভালো ছিল, বাতাস পরিষ্কার ছিল তখন অনেকক্ষণ দৌড়াতে পারতাম। এখন বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট হয়। এছাড়া কাশি, গলা ব্যথা ও ঠান্ডা লেহেই আছে।’
আরেকজন বলেন, ‘দূষণের মাত্রা খুবই খারাপ পর্যায়ে আছে। ভোরবেলায় ঘন কুয়াশার ধোঁয়া মিলে কিছুই দেখা যায় না। চোখও জ্বালাপোড়া করে।’
প্রতিবছর শীতকালে দিল্লিকে এই ধোঁয়ার সঙ্গে লড়াই করতে হয়। চলতি বছরে দিল্লির দূষণের প্রায় ৩৮ শতাংশই হয়েছে খড় পোড়ানোর কারণে। দ্য ল্যানসেট মেডিক্যালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ভারতে ১৭ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী নিম্নমানের বায়ু।