এবার বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরব সাগরে তিনটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত। জাহাজগুলোর ক্ষেপণাস্ত্র সঠিক নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম। এ ছাড়া গভীর সমুদ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি সামরিক বিমান পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, 'আমাদের ব্রাভো-ক্লাসের ৪টি ডেস্ট্রয়ার আছে। যেগুলো বাণিজ্যিক জাহাজকে জলদস্যু ও ড্রোনের আক্রমণ থেকে ঠেকাতে মোতায়েন করা হয়েছে।'
আরও বলেন, 'আমাদের কাছে ব্রাভো-ক্লাসের ৪টি ডেস্ট্রয়ার আছে। যেগুলো মোতায়েন করা হয়েছে বাণিজ্যিক জাহাজকে জলদস্যু ও ড্রোনের আক্রমণ থেকে ঠেকাতে।'
আরব সাগর দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে সৌদি আরব ও ইরাক থেকে প্রচুর অপরিশোধিত তেল ভারতে যায়। এই সমুদ্রপথে কোনো ধরনের অঘটন মানে ভারতকে ক্ষতির মুখে ফেলা। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বলেন, 'পুরো ভারত মহাসাগরকে নিরাপত্তা দিতে মূখ্য ভূমিকা রাখবে ভারত। এই অঞ্চলের সমুদ্রপথে বাণিজ্য অন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে। তাই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে মিলে বাণিজ্যের জন্য সমুদ্রপথকে নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা করা হবে।'
এদিকে, আরব সাগরে জাহাজে হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও, অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। আর ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, হামলার বিষয়ে নিশ্চিত হতে ফরেনসিক পরীক্ষার দরকার।
লোহিত সাগরে হুতিরা এ পর্যন্ত হামলা চালিয়েছে প্রায় ১৫টি জাহাজে। তাদের দাবি, গাজায় হামলা বন্ধ না হলে ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালিয়ে যাবে। লোহিত সাগর থেকে অনেক দূরে ভারত মহাসাগরে হামলার ঘটনা এই প্রথম।
সম্প্রতি অপরিশোধিত তেল নিয়ে সৌদি আরব থেকে ভারতে যাওয়ার সময় গুজরাট উপকূল থেকে প্রায় ২০০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা অবস্থায় ড্রোন হামলার শিকার হয় ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ।