আদরের শিশু সন্তানকে টিকা দিতে এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে ছুটছেন বাবা-মা। এরপরও মিলছে না টিকা। তাই ফিরতে হচ্ছে হতাশ হয়ে। দুই মাস ধরে ভোলায় নিউমোনিয়া, পোলিও, হাম, ডিপথেরিয়া সহ ৭টি রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ থাকায় টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে এখন এই দৃশ্য নিত্যদিনের।
জেলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন টিকাদান কেন্দ্রে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে টিকাদান। তাই নির্দিষ্ট সময়ে শিশুদের টিকা দিতে না পারায় চরম দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা।
অভিভাবকরা বলেন, ‘আমরা বাচ্চা ভালো রাখার জন্য টিকা চাই। এখন টিকা নেই। এই মাসে টিকা পাইনি, এই দুই মাসে কোনো টিকা নেই।'
আরেকজন বলেন, ‘টিকা দিতে আসছিলাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে টিকা নেই। এতে আমাদের বাচ্চাদের বিভিন্ন রোগবালাই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, দেড় মাস বয়স থেকে সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে শিশুদের দিতে হয় পিসিভি, আইপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট এই তিনটি টিকা। যা ৭টি রোগ নিরাময় করে। কিন্তু এসব ভ্যাকসিন সংকটে নিয়মিত টিকা দিতে না পারায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
ভোলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. তায়েবুর রহমান বলেন, ‘যদি এটার ডোজ সিডিউল দেরি হয় তাহলে দেখা যাবে আমাদের যে রোগ প্রতিরোধের জন্য যে পাঁচটা টিকা পেন্টাভ্যালেন্ট, তার যেকোন একটি রোগ হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণ রোগ নিউমোনিয়া, ঠান্ডা জ্বর হতে পারে বাচ্চাদের।’
টিকার চাহিদাপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে টিকা সরবারহ স্বাভাবিক হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘ইপিআই মহাখালী হেডকোয়ার্টারে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে, ভ্যাকসিন শীঘ্রই আসবে এবং আমাদেরকে সাপ্লাই দেয়া হবে। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে একটা আশা আছে ফিল্ডে ভ্যাকসিন আসার।’
জেলায় বছরে ৬৪ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হয়। বর্তানে এখানে ১০ রোগের মধ্যে মাত্র তিনটির টিকা মজুত আছে।