শীতে অস্বস্তি নিয়ে আসে ত্বক। ত্বক যেন সইতে নারাজ শীতের হিম হাওয়া। বড়দের ত্বকের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল শিশুর ত্বক । তাই তাদের ত্বকের যত্ন নিয়ে আলাদা করে ভাবতেই হয়। কিন্তু ত্বকের যত্নে সন্তানের ব্যবহারের প্রসাধনী সম্পর্কে বাবা মা কতটা সচেতন?
বনানীর কড়াইল বস্তি। ঘরের পিঠে ঘর। মানুষের পিঠে মানুষ। ৯০ একরের বেশি জায়গাজুড়ে থাকা কড়াইল বস্তির জনসংখ্যা লক্ষাধিক । স্বল্প আয়ে জীবন নিবার্হ করে বেচে থাকাই যেখানে সংগ্রাম, সেখানে শিশুর ত্বকের যত্নের কথা ভাবাটাই চিন্তার অপ্রয়োজনীয় প্রসাধন।
শিশুর মায়েরা বলেন, টাকার লাইগা কিছু কিনতে পারিনা। শীতের দিনে বাচ্চার শরীরে সরিষার তেল মাখি। যখন যা পাই তাই ব্যবহার করি।
বাজারে যে প্রকারের শিশুদের প্রসাধনী পাওয়া যায়, তার মান ও দামের রয়েছে রকমফের। এলসি জটিলতা ও ডলার সংকটের কারণে আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন বিক্রেতা।
বিক্রেতারা বলেন, গতবছরের চেয়ে এবার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বিক্রি কমে গেছে।
ক্রেতারা জানান, এমনিতেই বাচ্চাদের জিনিসের দাম বেশি। এবছর আরও বেড়ে গেছে। একটা জনসনের সাবান কিনতে খরচ হচ্ছে ৩০০ টাকা। সেখানে একটা মেরিল সাবানের দাম ১১০ টাকা।
শিশুর ত্বক খুব সহজেই বেশি মাত্রায় আর্দ্রতা হারাতে থাকে। এর মানে শিশুর ত্বক অল্প সময়েই শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর ত্বককে শুষ্কতা প্রবণ হওয়া থেকে বাঁচাতে বাজারে মিলছে শিশুর জন্য আলাদা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম,লোশন,তেল।
অন্য মৌসুমের চেয়ে শীত অনেকটাই আলাদা। তাই শিশুর ত্বকের প্রতি একটু বাড়তি প্রস্ততি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। বড়দের প্রসাধনী,লোশন বা ক্রিম না ব্যবহার করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সহযোগী অধ্যাপক ডা: সারাবন তহুরা এখন টিভিকে বলেন, 'শিশুর নাজুক ত্বকে সরিষার তেল একদমই ব্যবহার করা যাবেনা। এটা শরীরে ব্যবহারের জিনিসনা। এতে এলার্জি বেড়ে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শিশুদের বয়স অনুযায়ী প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।'
শিশুর ত্বকের রূপ-প্রকৃতি বয়স বাড়ার সঙ্গে পাল্টে যেতে পারে। তাই নজর রাখতে হবে বাড়ন্ত শিশুর দিকে।
ষড়ঋতুর এই দেশে প্রকৃতিতে যে পরিবর্তন আসে, তা মানিয়ে নিতে শিশুদের বেশ কষ্টই পোহাতে হয়। শিশুদের ত্বক কোমল আর নাজুক হয়,শিশুর গাল, হাঁটু, নাক এবং কনুইয়ের ত্বক শুষ্কতায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচাইতে বেশি। আর শীতকালে এই আশঙ্কা বাড়ে কয়েকগুণ। তাই শিশুর প্রসাধনী ব্যবহারে সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।