গোপালগঞ্জে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৫ ডিগ্রি

কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল
কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল | ছবি: সংগৃহীত
1

গোপালগঞ্জে চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ (বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন।

একনজরে গোপালগঞ্জের শীতের খবর

  • সর্বনিম্ন তাপমাত্রা: ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন)।
  • তারিখ: বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫।
  • কুয়াশার প্রভাব: দৃশ্যমানতা মাত্র ২০০ মিটারে নেমে এসেছে; হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
  • আবহাওয়ার অবস্থা: বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭%; গত ২-৩ দিন সূর্যের দেখা নেই।
  • জনজীবন: তীব্র শীত ও ঝিরঝিরে ঠান্ডা বাতাসে স্বাভাবিক চলাচল বিপর্যস্ত। রিকশা-ভ্যান চলাচল কমেছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বের হচ্ছে না।
  • কৃষিখাত: বোরো ধান রোপণ ব্যাহত হচ্ছে; ধানের চারা ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা।
  • পূর্বাভাস: আগামী অন্তত দুই দিন শীতের এই তীব্রতা একই রকম থাকতে পারে।

সূর্যের দেখা নেই, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

গত দুই থেকে তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে প্রায় ২০০ মিটারে। একই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা রেকর্ড করা হয়েছে ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস

গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বুধবার সকালে জানান, তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও আগামী দুই দিন শীতের তীব্রতা প্রায় একই রকম থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:

যানচলাচল ও জনজীবনে প্রভাব

প্রচণ্ড শীতের সঙ্গে ঝিরঝিরে ঠান্ডা বাতাস এবং শিশিরের মতো ক্ষুদ্র কণার বৃষ্টি পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। শীত ও কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। কর্মজীবীদের অনেকেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রিকশা ও ভ্যান চলাচলও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। যাত্রী না পাওয়ায় অনেক চালককে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

কৃষিখাতে স্থবিরতা ও শঙ্কা

এদিকে বোরো মৌসুম শুরু হলেও তীব্র শীতের কারণে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে পারছেন না। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ অবস্থা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকলে বোরো ধান রোপণ ব্যাহত হতে পারে এবং ধানের চারা ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এফএস