মূলত জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে মোট ৩০ টিরও অধিক যুব সংগঠনের সদস্যদেরকে একত্রিত করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন ও এর সহযোগী সংগঠন উত্তরণ। সকল সংগঠনকে নিয়ে একসাথে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় কাজ করার লক্ষ্যেই ‘ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরাম’ গঠন করা হয়েছে।
এতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ইয়েস গ্রুপ, প্রথম আলো বন্ধুসভা, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, বাংলাদেশ স্কাউটস, দ্য গ্রিন ফোর্স-সাতক্ষীরা, বিডি ক্লিন, উপকূলীয় প্রকৃতি সংগ্রাহক যুবা-এর মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরুণরা যুক্ত হয়। সেভ দ্য চিলড্রেন এবং উত্তরণ তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভিন সেজুতি বলেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সবার আগে যুব ও নারী উভয়ের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ সম্পৃক্ততা ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়। সরকার আমাদের যুব ও নারীদের নিয়ে কাজ করতে বলেছে। আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।'
ইয়ুথ অ্যাডাপ্টেশন ফোরামের সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস বলেন, 'তাদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এবং এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বৃহত্তর পরিবর্তন আনতে স্থানীয় সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে চাই। এতে সাতক্ষীরার ৩০টির বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা সহযোগিতা করবেন। তারুণ্যের শক্তি উন্মোচন করে, আমরা পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমানোর পাশাপাশি পানি ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ করবো।'
এসময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আসমত আরা বেগম, বিসিক সাতক্ষীরার প্রচার কর্মকর্তা পীযূষ ঘোষ, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, যুব সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, সেভ দ্য চিলড্রেন ও উত্তরণের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সেভ দ্য চিলড্রেন ১৯৭০ সাল থেকে বাংলাদেশে শিশু, পরিবার, সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে। এটি বিশ্বের প্রথম শিশুতোষ এবং স্বাধীন মানবিক সংস্থা। —প্রেস বিজ্ঞপ্তি