দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ব্যারিস্টার সুমন। ফেসবুকে অর্ধকোটির বেশি অনুসারীর এই প্রার্থী বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। বর্তমান বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে হারিয়েছেন তিনি।
এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। তবে মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমে স্থানীয় মানুষের মন জয় করেছেন।
পেশায় আইনজীবী হলেও ব্যারিস্টার সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান। মূলত দেশের বিভিন্ন স্থানের ভাঙা রাস্তাঘাটসহ নানা অসঙ্গতির চিত্র সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. রাশেদা রওনক খান বলেন, 'পুরাতনরা যদি ঢাকায় বসে থাকেন কিংবা যোগাযোগ না রাখেন। আর অন্যজন যদি যোগাযোগ করে যান তাহলে জনগণ তাকেই লুফে নিবে।'
মূলধারার গণমাধ্যমকে ছাপিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যখন মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে তখন এর প্রভাব কি? বিশ্লেষকরা বলছেন, সময়ের সঙ্গে রাজনীতির কৌশল বদলে যাচ্ছে। আর এই কৌশলকে জনগণের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে যুক্ত করার ওপর নির্ভর করবে রাজনৈতিক মুন্সিয়ানা।
গবেষক খন্দকার সাখাওয়াত আলী বলেন, 'ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ প্রয়োজনীয় তথ্য পাচ্ছে। আবার এর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক যুক্ত হয়ে যাচ্ছে।'
এবারের নির্বাচনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আরও অনেক প্রার্থী প্রচারণা চালিয়েছেন। এর মধ্যে ফরিদপুর-৪ আসনে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীও আছেন।