দেশের রাজস্ব আহরণে গড়ে ৮০ শতাংশেরও বেশি অর্থের যোগান দেয় এনবিআর। স্বনির্ভরশীলতার পাশাপাশি এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় ভূমিকাও রাখতে হবে রাষ্ট্রের সবচয়ে বড় অভ্যন্তরীণ অর্থের যোগানদাতা সংস্থাটিকে। কিন্তু সে প্রস্তুতির মুহূর্তেই, চলতি অর্থবছরের শুরুতেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে এনবিআরকে।
রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে অর্থপাচার রোধে বড় ভূমিকা চোখে না পড়লেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার বিধানই ছিল বড় আলোচনায়। একইসাথে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে খোদ এনবিআরেই থাকা মতিউরের মতো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। যদিও নিজের প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেননি সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুমিন।
এ অবস্থায় শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদ হারান তারই তিনবারের নিয়োগ দেয়া এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যানও। আর রোববার একই পদে বসা নতুন চেয়ারম্যান জানালেন- ব্যবস্থা নেওয়া হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং অর্থপাচার রোধেও।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, 'অশোভন কাজ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। কালো টাকা সাদা করার মাধ্যমে দুর্নীতিকে গ্রহণ করার পাশাপাশি সৎ করদাতাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। যদি কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসে তাহলে খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
এনবিআরের ত্রুটিপূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গরিবের ওপর চাপানো হচ্ছে করের বোঝা। তাই রাজস্ব সংক্রান্ত আইন আধুনিকায়নে ৩টি টাস্কফোর্স করা হবে যা ব্যবসায়ী ও কর কর্মকর্তাদের মতামত নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। এনবিআরে সংযোগ হবে নতুন নীতিমালা।'
করের আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি ট্যাক্স পেয়ার এডুকেশনে জোর দেয়া ও পাঠ্যশ্রেণিতে কর ব্যবস্থা সংযোজনের উদ্যোগের কথাও জানান সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।