প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছেন চীনের রাষ্ট্রদূত। ড. ইউনূসের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর হিসেবে চীনকে বেছে নেয়াকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে দেখছে ঢাকা।
কূটনীতিক সূত্র বলছে, কিছু সমঝোতার বিষয়ে একমত দুই দেশই। বাকি কেবল আনুষ্ঠানিকতা। তার মধ্যে রেলের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কিছু প্রকল্পও রয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সূত্র বলছে, চীনের সাথে কমপক্ষে ২১ হাজার কোটি টাকা প্রকল্পের সমঝোতা হবে ড. ইউনুসের এই সফরে।
যার মধ্যে রয়েছে চীন থেকে নতুন ২০০ টি কোচ আমদানি। যার বাজারমূল্য কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা।
রেলওয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘তারা ২০০টি কোচের জন্য বড় একটি অফার করেছে।’
সেইসাথে আখাউড়া টু সিলেট, জয়দেবপুর থেকে জামালপুর রেলপথকে ডুয়েল গেজে রুপান্তর। যার ব্যয় কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকা।
রেলওয়ে মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘আমাদের কিছু ডুয়েল গেজ কনভার্শন লাইন আছে, জয়দেবপুর থেকে জামালপুর এবং আখাউড়া থেকে সিলেট এখানে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার রেলপথ ডুয়েল করা বাকি আছে। এই দুইটার জন্যই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।’
এখন টিভির সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে রেলওয়ে মহাপরিচালক ও রেলসচিব বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি রেলের সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা হবে চীন সফরে। ঢাকা, পার্বতীপুর ও পাহাড়তলী কারখানা আধুনিকায়ন নিয়ে চীনের সহযোগিতা চাওয়া হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘রেলওয়ের যেসমস্ত কারখানাগুলো রয়েছে, সেগুলোর আধুনিকায়ন করাসহ আরো অন্যান্য বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টা তাদের কাছে উত্থাপন করবেন।
এর আগে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পও বাংলাদেশ এবং চীনের জি টু জি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয়েছে। যার পুরোপুরি কাজ শেষ হবে চলতি বছর।