জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা মেলে একশ্রেণির ফেরিওয়ালার। পুরনো জিনিসপত্র কেনেন বলে 'ভাঙ্গারিঅলা' বলেই পরিচিতি তারা।
মুখরোচক খাবার বা অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সাধারণত কেনা হয় বাসাবাড়ি-অফিস-দোকান বা কারখানার পণ্য। জেলাজুড়ে এ কাজে জড়িত ১৫ থেকে ১৬ হাজার মানুষ।
তবে সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে পাওয়া যাচ্ছে নানা অভিযোগ। ব্যবসার আড়ালে বিক্রি নিষিদ্ধ উপকরণ, মালিক না হয়েও অন্য লোকের মাধ্যমে মালামাল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত অনেকে। এমনকি দিনে বাসা-বাড়ির খবর নিয়ে রাতে চুরি ডাকাতির অভিযোগও পাওয়া যায়।
হকাররা বলেন, 'আমরা দৈনিক ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা কামাইতে পারি। প্লাস্টিক, লোহা, সিলভার, ব্যাটারি, টিন, বইখাতা কিনি।'
মুখরোচক খাবারের মাধ্যমে ফেলনা জিনিসপত্র কিনছেন এক হকার
শুধু তাই নয়, সরকারের দেয়া চলতি বছরের পাঠ্যবইও পাওয়া যায় এসব দোকানে। ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীরা বলেন, 'আমরা বইখাতা আনি, তারপর বিক্রি করি। দুইকেজি আড়াই কেজির মধ্যে হঠাৎ দুই একটা পড়লে তো আর কিছু করার থাকে না।'
পণ্য পরিবহনে অন্তত ১ হাজার গাড়ি চলে। যেগুলো চার্জার ব্যাটারি নির্ভর। কিন্তু অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে ব্যবহারকারীদের ফায়দা আদায় হলেও বঞ্চিত হয় সরকার।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলেন, 'একটা ব্যাটারি চার্জ হইতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। আমরা রাস্তায় চার্জ দেই না, গ্যারেজে চার্জ দেই।'
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. আশরাফ হায়দার বলেন, 'প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। এই বিদ্যুৎ আমরা অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করতে পারি। এতে লোডশেডিং মোকাবেলা করা সহজতর হবে।'
অভিযোগ স্বীকার করেন ব্যবসায়ী নেতারা। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস প্রশাসনের।
পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বলেন, 'যত্রতত্র যেন কেউ গাড়ি না রাখে সেজন্য ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা মাইকিং শুরু করেছি। পরবর্তীতে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, 'যদি কোন ধরনের অনিয়ম থাকে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'
পুনঃব্যবহারযোগ্য উপকরণনির্ভর বাণিজ্যখাতটি সম্ভাবনাময়। তাই নজরদারি, সাংগঠনিক ও আইনগত তৎপরতার মাধ্যমে নিয়ম-নীতির মধ্যে আনার অনুরোধ ব্যবসায়ীদের।