৪২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯ জেলায় নির্মাণ করা হয়েছে ৩০টি ওয়েলফেয়ার সেন্টার। যেখানে কাজ হারিয়ে প্রবাস থেকে দেশে ফেরা কর্মীরা পাবেন প্রশিক্ষণ, ঋণ সহায়তা পরামর্শ, উদ্যোক্তা হবার সহযোগিতাসহ ৮ ধরণের সেবা।
গেলো অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪০ শতাংশ বেশি কর্মী পাঠিয়ে রেকর্ড গড়া জনশক্তি রপ্তানি খাত চলতি বছরেও দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ভাঙার দারপ্রান্তে। সদ্য সমাপ্ত ২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ কর্মী বিদেশে গেলেও চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে বিদেশে গিয়েছেন ১০ লাখ ৯৯ হাজার কর্মী।
কিন্তু জনশক্তি রপ্তানি সংখ্যায় বাড়লেও এ খাতে দুর্ভোগের অভিযোগও কম নয়। বিদেশে গিয়ে কাজ না পাওয়া, স্বল্প বেতন, প্রতিশ্রুত কাজ না পেয়ে দেশে ফেরত আশা কর্মীর সংখ্যাও কম নয়। শুধুমাত্র কোভিডকালেই দেশে ফিরেছে পাঁচ লাখেরও বেশী প্রবাসী কর্মী। জমি-জমা বিক্রি করে, ঋণ করে বিদেশ যাবার পর আবার খালি হাতে ফিরে আসার পর এই প্রবাস কর্মীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন।
এমন প্রেক্ষাপটে বিদেশফেরত এমন কর্মীদের জন্য জেলা পর্যায়ে ওয়েলফেয়ার সেন্টার চালু করলো প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এই সেন্টারের আওতায় বিদেশ ফেরত কর্মীরা পাবেন নগদ প্রণোদনা, ঋণ পেতে সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, কারিগরি প্রশিক্ষণসহ আটটি সুবিধা। মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও সাতটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে সারাদেশে কাজ করছে এমন ৩০টি ওয়েলফেয়ার সেন্টার।
বিশ্ব ব্যাংকের ৪২৭ কোটি টাকার ঋণ সহায়তাসহ সরকারের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এ সেন্টারগুলো প্রবাসী কর্মীদের মর্যাদা আর নিরাপদ অভিবাসনে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
এ প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ কর্মীকে এককালীন দেয়া হবে নগদ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে। সহায়তা বিতরণ শুরু হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। আর প্রকল্পের বাকি সুবিধা পেতে নিবন্ধন করেছেন সারাদেশে প্রায় ৬০ হাজার প্রবাস ফেরত বাংলাদেশি কর্মী।